তৃতীয় দিনের মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু
১৪ নভেম্বর ২০১৮ ১১:৩৮
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগ্রহী প্রার্থীদের মধ্যে তৃতীয় দিনের মতো মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
বুধবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্থাপিত ১০টি বুথে একযোগে এ মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু হয়।
মনোনয়ন বিক্রি শুরুর পর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘টিভি খুললেই দেখি অনেক চ্যানেলে ‘থ্যাঙ্ক ইউ পিএম’ এর অ্যাডভারটাইজমেন্ট চলছে। কিছু বিজ্ঞাপনের পর বোঝাও যায় না, বিজ্ঞাপনদাতা কে? কিছু বিজ্ঞাপনের পর বোঝা যায় যে, বিজ্ঞাপন দাতা মন্ত্রণালয়।’
নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচারে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে কি-না প্রশ্ন তুলে রিজভী বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে এখন কেন সরকারি অর্থে এ ধরনের প্রচার চালু রাখা হচ্ছে ? এ বিজ্ঞাপন তো দেশের মানুষের ট্যাক্সের টাকায় প্রচারিত হচ্ছে। আর বিজ্ঞাপন প্রচার করে আওয়ামী লীগ ভোটের সুবিধা নেবেন—এটা নির্বাচন আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এটার মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণায় সমান সুযোগের বিধান লঙ্ঘন করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন এসব দেখে না দেখার ভান করছে।’
সরকারি টাকায় আওয়ামী লীগের পক্ষে বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একাদশ সংসদ নির্বাচনে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ জন্য ভোটকেন্দ্র থেকে সংবাদ মাধ্যমগুলোকে সরাসরি সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রিজভী বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি, বর্তমান ইলেকশন কমিশন সরকারের খয়ের খাঁ। সরকারের হুকুমে নানা নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে। এমনিতে একের পর এক কালাকানুন তৈরি করে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করছে সরকার। গণমাধ্যমের ওপর চলছে সরকারি নিবর্তনমূলক খড়গ। এ ছাড়া বিভিন্ন গোয়ন্দো সংস্থা প্রতিনিয়ত মিডিয়াকে ওয়াচ-এর নামে ধমকিয়ে যাচ্ছে।’
‘ভোট ডকাতি ও ভোট কারচুপির খবর যাতে প্রকাশ না হতে পারে, ভোট সন্ত্রাসের খবর যাতে প্রকাশ না হতে পারে, সে জন্যই গণমাধ্যমকে সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণের জন্যই এ কঠোর নীতিমালা’—বলেন রিজভী।
এদিকে মনোনয়ন বিক্রির তৃতীয় দিন সকাল ১১টা পর্যন্ত নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে জড়ো হওয়া নেতা-কর্মীর সংখ্যা গত ২ দিনের তুলনায় অনেক কম।
লোকজনের তেমন কোনো ভিড় নেই নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে এবং আশপাশের এলাকায়। দলীয় কার্যালয়ের ভেতরেও নেই তেমন নেতা-কর্মীর চাপ।
এদিকে কার্যালয়ের সামনে বেড়েছে পুলিশের সংখ্যা। সড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে তারা তৎপর রয়েছেন। বিএনপির নেতা-কর্মীরাও গত দুদিনের মতো স্লোগানে আর ফেটে পড়ছেন না।
কয়েক জন কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আচরণ বিধির ব্যাপারে গতকাল ইসির তৎপরতা শুরু হওয়ায় আজ তারা বুঝেশুনে এগোবেন।
সারা বাংলা/এজেড/এমআই