ব্রেক্সিট ইস্যুতে ব্রিটিশ মন্ত্রীপরিষদে শোডাউনের আশঙ্কা
১৪ নভেম্বর ২০১৮ ১৬:২৯
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
যুক্তরাজ্য ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) মধ্যকার খসড়া ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে দেশটির মন্ত্রীপরিষদ। বৈঠকে চুক্তির পক্ষে সহকর্মীদের সমর্থন অর্জনের চেষ্টা চালাবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈঠকে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হবেন তিনি। এক প্রতিবেদনে এমনটা জানিয়েছে বিবিসি।
স্থানীয় সময় বুধবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর ২:০০টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৮:০০ টা) ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে ডাউনিং স্ট্রিটে জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীরা জড়ো হবেন।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে অনেক শীর্ষ ব্রেক্সিট সমর্থকরাও বর্তমান চুক্তি থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। রাজনৈতিক দল দ্য ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট’র নেতারা সতর্ক করেছেন, বর্তমান এই চুক্তির কারণে যুক্তরাজ্যের ঐক্যতায় ফাটল ধরতে পারে।
এদিকে বিবিসির প্রতিবেদক নরম্যান স্মিথ জানিয়েছেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীদের সকল হুমকির সম্ভাবনা বাতিল করার চেষ্টা করবেন। তিনি বলবেন, বর্তমান চুক্তিটি হয়তো শতভাগ সন্তুষ্টজনক নয়, কিন্তু এটাই সবচেয়ে সম্ভাব্য ভাল চুক্তি।
ব্রেক্সিট সমর্থকরা বলছেন, বর্তমান চুক্তিটি তাদের জন্য বড় ধরণের জয়। কেননা এর আওতায় নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের জন্য আলাদা কাস্টমস বর্ডারের প্রয়োজন পড়বে না। পাশাপাশি যুক্তরাজ্য প্রস্তাবিত ‘ব্যাকস্টপ’ কাস্টমস ব্যবস্থা থেকে ইচ্ছা অনুযায়ী বের হয়ে যেতে পারবে। প্রসঙ্গত, ব্যাকস্টপ কাস্টমস ব্যবস্থা মানে হচ্ছে, সীমান্ত পারাপারের সময় শারীরিক তল্লাসির শিকার হতে হবে যুক্তরাজ্যবাসীকে।
ব্রেক্সিটের খসড়া চুক্তির বিষয়ে দুই পক্ষ সম্মত হয়েছে এমন খবরে ডলার ও ইউরোর তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য।
মূল বৈঠকের আগে মন্ত্রীদের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠকে বসছেন মে। যদি মন্ত্রীরা এই খসড়া চুক্তিতে সম্মত হয় তাহলে পরবর্তীতে ইইউ কমিশন খসড়া চুক্তিটি জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করবে। খসড়া চুক্তিটি চূড়ান্ত করতে ইইউ’র বাকি ২৭ সদস্য দেশের রাষ্ট্রদূতরা এই মাসের শেষের দিকে একটি জরুরী বৈঠক আয়োজন নিয়ে আলোচনায় বসবেন।
আর যদি এমনটা হয় তাহলে মে সরকারকে এই চুক্তির জন্য পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন অর্জন করতে হবে। কিন্তু কয়েকজন টরি নেতা ও নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টি জানিয়েছে, তারা এই চুক্তির বিরুদ্ধে ভোট দেবে।
সারাবাংলা/ আরএ