।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: নির্বাচন কমিশনের যোগসাজসে সরকার পুলিশকে দিয়ে নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আসা দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (১৪ নভেম্বর) রাত ৯টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে মিছিলের মধ্যে ঢুকে পুলিশ হামলা করেছে। একইসঙ্গে শিশুদের নিরাপদ সড়কের আন্দোলন বানচালকারী ছাত্রলীগের হেলমেট বাহিনী এসে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেছে, আগুন দিয়েছে।
ফখরুল বলেন, আমাদের দলের কোনো নেতা-কর্মীর হেলমেট পড়ে আসার কথা নয়। আমাদের নেতা-কর্মীরা দু’দিন যাবৎ উৎসাহ-উদ্দীপনার মাঝে ফরম নিতে এসেছেন। যেটা ছিল সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়ে আবার আগের মতো আমাদের সারাদেশের কার্যালয়ের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনী কাজ শুরু করেছিলাম, সেটা যদি আমরা করতে না পারি এবং নির্বাচনে থাকতে না পারি তাহলে সে জন্যে নির্বাচন কমিশন ও সরকার দায়ী থাকবে।
তিনি অভিযোগ করেন, রাতে যারা বিএনপি অফিস থেকে বেরিয়েছে তাদের ৭০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে বগুড়ার সাবেক সংসদ সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, গাইবান্ধা জেলার সাবেক সভাপতি আনিুজ্জামান, খুলনা জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান রেয়েছেন।
ফখরুল অবিলম্বে গ্রেফতার নেতা-কর্মীদের মুক্তি দাবি করেন। তিনি বলেন, অন্যথায় নির্বাচনে থাকার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবে বিএনপি।
আরও পড়ুন: ‘ইসি ও সরকারের ওপর নির্ভর করছে বিরোধী দল নির্বাচনে থাকবে কি না’
নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে তিনি বলেন, অবিলম্বে এই মামলাগুলো প্রত্যাহার করতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল।
সারাবাংলা/এজেড/এটি