নির্বাচনের সাতদিন আগে সেনাবাহিনী মোতায়েন: ইসি
১৫ নভেম্বর ২০১৮ ১১:১৬
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই থেকে তিনদিন অথবা সাত থেকে দশদিন আগে নির্বাচনি এলাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। একই সময়ে এসব এলাকায় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ও র্যাব মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে ইসিতে চট্রগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ব্রিফ করার সময় ইসি সচিব হেলালউদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশন বদ্ধ পরিকর। এজন্য সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কেউ দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইসি সচিব বলেন, নির্বাচনের আগে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে সেনাবাহিনী তাদের নির্বাচনি দায়িত্ব পালন করবে।
ইসি সচিব বলেন, কোথায় প্রিজাইডিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে সেটা এখন থেকে ঠিক করে রাখতে হবে। কোথায় থেকে ফলাফল ঘোষণা করা হবে আর কোথায় থেকে নির্বাচনি মালামাল সরবরাহ করা হবে তাও এখনি ঠিক করে রাখতে হবে। সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ইসি সচিব বলেন, গতকাল (বুধবার) পল্টনে শোডাউনকে কেন্দ্র করে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে । এসব বিষয়ে সর্তক থাকতে হবে। ইসি সচিব বলেন, নির্বাচনী পোস্টার ব্যানার সরিয়ে ফেলাসহ মাঠের পরিবেশের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন ইসি সচিব।
একই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কমিশনার মাহবুব তালুকদার রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বলেন, সাহসিকতার সঙ্গে সবাইকে কাজ করতে হবে। কোনো কর্মকর্তা শিথিলতা দেখালে তার বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে। এ সময় নির্বাচনের পরিবেশ ভালো থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
এবারের নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মুখ দেখানো যাবে না বলে মন্তব্য করেন মাহবুব তালুকদার। কেউ নির্বাচনকে ভণ্ডুল করতে চাইলে আইন এর মধ্য থেকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন ইসি কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
এ সময় রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনয়নে তৃণমূলের মতামত নিয়ে করা হয়নি বলেও মন্তব্য করেন মাহবুব তালুকদার।
উল্লেখ্য, সরকারের সাথে সংলাপের সময় থেকেই রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়ে আসছিল। এতদিন পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু না বললেও এই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমকে জানালো নির্বাচন কমিশন।
সারাবাংলা/জিএস/জেএএম