ব্রেক্সিট চুক্তি: আলোচনায় যুক্তরাজ্য-আয়ারল্যান্ড সীমান্ত
১৫ নভেম্বর ২০১৮ ১১:৫৫
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া বিষয়ে খসড়া চুক্তির অগ্রগতি হয়েছে। এতে উল্লেখযোগ্য বিষয় হিসেবে স্থান পেয়েছে আয়ারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের সীমান্ত আলোচনা। একথা জানিয়েছেন চুক্তিটির প্রধান সমন্বয়কারী মাইকেল বার্নিয়ার। খবর বিবিসির।
তিনি বলেন, নথিতে যুক্তরাজ্যের অংশ নর্দান আয়ারল্যান্ড ও রিপাবলিক আয়ারল্যান্ড সীমান্তে পণ্য ও অন্যান্য জিনিস পরিবহনে বলপ্রয়োগ ও শারীরিকভাবে তল্লাশি চালানো পরিহার করতে বলা হয়েছে।
ব্রেক্সিট সমর্থকরা বর্তমান চুক্তিটি তাদের জন্য বড় ধরনের জয় হিসেবে দেখছেন। কেননা এর আওতায় নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের জন্য আলাদা কাস্টমস বর্ডারের প্রয়োজন পড়বে না।
তবে এসব ক্ষেত্রে দুপক্ষের সমঝোতা না হলে ‘বিকল্প বিষয়’ ভাবা হবে। বার্নিয়ার বলেন, যদি আমরা ২০২০ সালের মধ্যে এগুলো বাস্তবায়নে প্রস্তুত না হই, তাহলে সময় বাড়ানো যাবে। যদি তখনও বিষয়টির সমাধান না হয় তবে বিকল্প পদ্ধতি ‘ব্যাকস্টপ অ্যাগ্রিমেন্ট’ কাজ করবে। প্রসঙ্গত, ব্যাকস্টপ কাস্টমস ব্যবস্থা মানে হচ্ছে, সীমান্ত পারাপারের সময় শারীরিক তল্লাশির শিকার হতে হবে যুক্তরাজ্যবাসীকে।
এছাড়া জিব্রাল্টার ও সাইপ্রাসের মানুষদের বর্তমান সুযোগ-সুবিধা বহাল থাকার বিষয়টিও চুক্তিতে থাকবে বলেও জানান বার্নিয়ার।
আরও পড়ুন: ব্রেক্সিট ইস্যুতে ব্রিটিশ মন্ত্রীপরিষদে শোডাউনের আশঙ্কা
এর আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেন, চুক্তির পক্ষে তিনি তার সহকর্মীদের সমর্থন অর্জনের চেষ্টা চালাবেন। চুক্তিটি গ্রহণযোগ্য হতে ইইউর এখনো ২৭টি দেশের আনুষ্ঠানিক মতামত বাকি।
তবে কয়েকটি দেশ এখনই খসড়া চুক্তিটিকে সমর্থন করেছে। অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর সেবাস্টিয়ান বলেন, ভালো ফল। খুবই আনন্দিত।
ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জুহা সিপিলা বলেন, চূড়ান্ত চুক্তির জন্য দুপক্ষের আরও বেশ কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যের ইইউ জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়া বিষয়ে ৫৮৫ পৃষ্ঠার এক খসড়া বুধবার (১৪ নভেম্বর) উপস্থাপন করা হয়। যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ওই নথির ব্যাপারে একমতে পৌঁছেছে বলে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিসভার সূত্রে জানা যায়।
ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট বিষয়ক প্রধান গাই ভেরোফাস্টাড, খসড়া চুক্তির সম্মতিতে দুপক্ষকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই চুক্তির মাধ্যমে নাগরিকদের অধিকার রক্ষিত হবে ও আইরিশ সীমান্তে কড়াকড়ি কমাবে।
তিনি আরও বলেন, যদিও আমি আশা জানাই যুক্তরাজ্য আবার ইউতে ফিরে আসবে। কিন্তু এই চুক্তির ফলেই ব্রেক্সিট সম্ভব হচ্ছে এবং ইইউ ও যুক্তরাজ্যের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় থাকবে।
খসড়া চুক্তিটি ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদের এক আইনি নিশ্চয়তা। ২০১৯ সালের মার্চে যুক্তরাজ্যের চূড়ান্তভাবে ইইউ ত্যাগের কথা রয়েছে। ইইউ ও যুক্তরাজ্য সম্পর্কে পরিবর্তনে ২২ মাস একে অপরকে সহযোগিতা করে যাবে বলে কথা রয়েছে। তবে এসময়কাল পারস্পরিক সম্মতিতে বাড়ানোও যাবে।
সারাবাংলা/এনএইচ