Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘উৎসবমুখর নির্বাচনি পরিবেশ দেখলে বিএনপির খারাপ লাগে’


১৫ নভেম্বর ২০১৮ ১৬:২৮

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: নির্বাচন ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হলে বিএনপির খারাপ লাগে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, নির্বাচন ঘিরে যখন চারদিকে উৎসবমুখর পরিবেশ, তখন বিএনপির খারাপ লাগে। আগুন-সন্ত্রাস ছাড়া বিএনপি আর কিছুই পারে না। সহিংসতা ঘটিয়ে উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানো— এটাই তাদের কাজ। তারা শুধু পুলিশকেই মারে, ২০১৪ সালেও দেখলাম, গতকালও (বুধবার) দেখলাম।

বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে ধানমিন্ডতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে এই সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সভায় শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি দেশের এগিয়ে যাওয়াটাকে নস্যাত করতে চায়। কিন্তু আমি বলতে চাই, নির্বাচন নিয়ে তারা যেন ষড়যন্ত্র না করে, ষড়যন্ত্র করলেও লাভ হবে না। কারণ জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে।

তিনি বলেন, যেকোনো সন্ত্রাস ও অগ্নিসন্ত্রাসেরর বিরুদ্ধে জনগণকে রুখে দাঁড়াতে হবে।  তারা যেন রুখে দেন, আমরা জনগণের পাশে আছি।

নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনাকে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, যেখানে ভিডিও ফুটেজে দেখা গেল, তাদের নেতাকর্মীরাই এ কাজ (পুলিশের ওপর হামলা) করছে। সেখানে তারা হুট করে বলে দিলো, ছাত্রলীগ-যুবলীগের ছেলেরা এ কাজ করেছে। ছাত্রলীগ গেল কখন এবং যাবে কেন? ভিডিও ফুটেজে তো সবার চেহারা দেখা যাচ্ছে। একটাও কি ছাত্রলীগ-যুবলীগের কারও চেহারা আছে? সবই তো বিএনপির গুন্ডাদের চেহারা, সবাই তো বিএনপির।

বিজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, জনগণ ‍উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন চায়। তাই বিএনপির প্রতি আমার অনুরোধ, নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করবেন না। ষড়যন্ত্র করে পার পাবেন না। কারণ, জনগণ এখন আমাদের সঙ্গে আছে।

নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পেতে ৪ হাজার ২৩ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছে। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তাদের সঙ্গে কিছু কথা বলেছি। এত মানুষের ভেতর থেকে একজন প্রার্থী বেছে নেওয়া সহজ কাজ নয়। ৪ হাজারের মাঝখান থেকে ৩০০ জনকে বেছে নেওয়াটা কঠিন কাজ। তারপরও আমরা মনোনয়ন বোর্ডে বসেছি, যাচাই-বাছাই করে ঠিক করব।

এর আগে, বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে শেখ হাসিনা উপস্থিত হন তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে। এর পরপরই শুরু হয় সংসদীয় বোর্ডের সভা।

গত রোববারও (১১ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংসদীয় বোর্ডের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমাদান প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর আজই (বৃহস্পতিবার) প্রথম বৈঠকে বসেছে সংসদীয় বোর্ড।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মনোনয়নের এখতিয়ার আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের। এই বোর্ডের সদস্যরা হলেন— আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফরউল্লাহ,  অধ্যাপক ড. আলাউদ্দীন আহমেদ, রশিদুল আলম, রমেশ চন্দ্র সেন, ড. আব্দুর রাজ্জাক ও কর্নেল (অব.) ফারুক  খান। এর মধ্যে নতুন সদস্য হিসেবে বোর্ডে স্থান পেয়েছেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, ড. আব্দুর রাজ্জাক ও কর্নেল (অব.) ফারুক খান। বোর্ডের সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত মারা যাওয়ার পর একটি সদস্যপদ খালি ছিল। এছাড়া সংসদীয় বোর্ডের অন্য দুই সদস্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও ড. আলাউদ্দিন আহমেদ অসুস্থ।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, এবার একাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেতে ৩০০ আসনে ৪ হাজার ২৩ জন মনোনয়ন ফরম তুলেছেন।

আরও পড়ুন-

সংসদীয় বোর্ডের সভায় বসেছেন শেখ হাসিনা

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেখ হাসিনা সংসদীয় বোর্ডের সভা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর