যুক্তরাজ্যে ব্রেক্সিটমন্ত্রীর পর পেনশনমন্ত্রীর পদত্যাগ
১৫ নভেম্বর ২০১৮ ১৭:০৮
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিট বিষয়ক মন্ত্রী ডমিনিক রা’ব পদত্যাগের কিছুক্ষণ পরই প্রস্তাবিত ব্রেক্সিট চুক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন দেশটির কর্ম ও পেনশন বিষয়ক মন্ত্রী এস্থার ম্যাকভে। এ নিয়ে মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) থেকে এখন পর্যন্ত ব্রেক্সিটের খসড়া চুক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগকারী মন্ত্রীর সংখ্যা দাঁড়াল তিনজনে। খবর বিবিসির।
বুধবার (১৪ নভেম্বর) মন্ত্রীপরিষদের সঙ্গে পাঁচ ঘণ্টাব্যাপি এক বৈঠক শেষে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে জানান, খসড়া চুক্তির পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ মন্ত্রী সমর্থন জানিয়েছে। এর একদিনের মধ্যেই বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) পদত্যাগ করেন রা’ব ও ম্যাকভে।
পদত্যাগের কারণ হিসেবে রা’ব বলেন, তিনি ব্রেক্সিটের খসড়া চুক্তির সঙ্গে একমত হতে পারছেন না।
রা’বের পদত্যাগের কিছুক্ষণ পরেই নিজের পদত্যাগের কথা জানান ম্যাকভে। নিজের পদত্যাগপত্রে মে’র উদ্দেশ্যে তিনি লিখেন, আপনি গতকাল (১৪ নভেম্বর) মন্ত্রীপরিষদের সামনে যে চুক্তি উপস্থাপন করেছেন তা আপনার গণভোটের ফলের প্রতি সম্মান জানায় না।
সাবেক কর্ম ও পেনশন বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, অবশ্যই, আপনি আপনার প্রধানমন্ত্রীত্বের শুরু থেকে আপনি যে পরীক্ষা শুরু করেছেন এই চুক্তিতে তার প্রতিফলন নেই। এটি যুক্তরাজ্যের অখণ্ডতার জন্য হুমকিস্বরুপ। আর একজন ইউনিয়নিস্ট হিসেবে আমি এই হুমকির অংশ হতে পারবো না।
আরও পড়ুন- পদত্যাগ করলেন ব্রেক্সিটমন্ত্রী ডমিনিক রা’ব
এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে মে’র ব্রেক্সিট পরিকল্পনার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে পদত্যাগ করেছেন মোট তিন মন্ত্রী। নিশ্চিতভাবেই এই পদত্যাগগুলো মে’র জন্য বেশ বড় ধাক্কা।
বিবিসি জানিয়েছে, বুধবার মে মন্ত্রীপরিষদের সমর্থনের কথা জানালেও বেশ কয়েকজন মন্ত্রী খসড়া চুক্তিটির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। এছাড়া কনজারভেটিভদের কেউ কেউ এই চুক্তি নিয়ে মে’র বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট দেওয়ার কথাও তুলেছেন।
প্রসঙ্গত, রা’ব ও ম্যাকভের আগে মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যের নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড বিষয়ক মন্ত্রী শৈলেশ ভারা পদত্যাগ করেন। পদত্যাগের কারণ হিসেবে জানান, তিনি মে’র ব্রেক্সিট বিষয়ক চুক্তি মেনে নিতে পারছেন না।
এর আগে সাবেক ব্রেক্সিট বিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড ডেভিস ব্রেক্সিট নিয়ে মে’র পরিকল্পনার প্রতিবাদে চলতি বছরের জুলাই মাসে পদত্যাগ করেন। এছাড়া সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনও চলতি বছরের জুলাইয়ে ব্রেক্সিট ইস্যুতে পদত্যাগ করেন।
সারাবাংলা/ আরএ