Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঐক্যফ্রন্ট-২০ দলে ভর করে ভোটের মাঠে আসতে চান ইজাহার


১৫ নভেম্বর ২০১৮ ২০:৪৮

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

চট্টগ্রাম ব্যুরো: বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির হয়ে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে নির্বাচন করতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন আলোচিত-সমালোচিত রাজনীতিক মুফতি ইজাহারুল ইসলাম চৌধুরী। দলের নিবন্ধন না থাকলেও ২০ দলের প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে লড়তে চান তিনি। আর লড়াইয়ের ময়দানে চান ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমর্থন ও সহযোগিতা।

বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) মনোনয়ন পত্র সংগ্রহের পর সারাবাংলা’র সঙ্গে কথা হয় বিএনপির একসময়ের শরীক ইসলামী ঐক্যজোটের শীর্ষ নেতা মুফতি ইজাহারুল ইসলামের সঙ্গে।

তিনি বলেন, ‘২০০১ সালে যে চারদলীয় ঐক্যজোট হয়েছিল সেটার রূপকার ছিলাম আমি। জোটের কাছে আমি বাঁশখালী আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলাম। আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। তখন বেগম খালেদা জিয়া লিখিতভাবে আমাকে মন্ত্রী করা হবে বলেছিলেন। কিন্তু মন্ত্রীও করা হয়নি।’

এবার বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দল থেকে অবশ্যই মনোনয়ন পাবেন বলে আশা করছেন হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতা হিসেবে পরিচিত ইজাহার।

‘বাঁশখালীতে বিএনপি কিংবা ২০ দলীয় জোট অথবা ঐক্যফ্রন্টের হয়ে যারা নির্বাচন করতে চান তারা সবাই আমার জুনিয়র। আমি একটি রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি। আমি জাতীয় নেতা। আশা করি ২০ দল আমার পাশে থাকবে। আর ঐক্যফ্রন্টও আমাকে সমর্থন দেবে। আমার পারিবারিক একটা ঐতিহ্য আছে। আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি আসনটা ২০ দল এবং ঐক্যফ্রন্টকে উপহার দিতে পারব।’ বলেন ইজাহার

নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর তালিকায় নেজামে ইসলাম পার্টির নাম নেই। নিবন্ধন না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে ইজাহার সারাবাংলাকে সরাসরি কোন জবাব না দিয়ে বলেন, ‘আমি ২০ বছর ধরে জাতীয় রাজনীতিতে আছি। আমিই চারদলীয় জোটের রূপকার ছিলাম।’

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত মুফতি ইজাহারুল ইসলাম চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজারের জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও পরিচালক। হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমীর পদে একসময় থাকলেও বতর্মানে সংগঠনটির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে তার বিরোধের খবরও গণমাধ্যমে এসেছে।

পাঁচ বছর আগে মুফতি ইজাহারের মাদ্রাসায় গ্রেনেড বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় উঠেছিল। পুলিশের বক্তব্য, মাদ্রাসার ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে হ্যান্ড গ্রেনেড বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। এতে পাঁচজন ছাত্র আহত হয়েছিল। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই ছাত্র মারা যান।

মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ল্যাপটপের চার্জার থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করলেও ঘটনার পর পুলিশ ওই কক্ষ তল্লাশি করে চারটি তাজা গ্রেনেড এবং বিপুল পরিমাণ গ্রেনেড তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেন। রাতে মাদ্রাসার ভেতরে মুফতি ইজহারের বাসায় তল্লাশি করে ১৮ বোতল এসিডও পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে নগরীর খুলশী থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলাগুলো বিচারাধীন আছে। এসব মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন মুফতি ইজাহার ও তার ছেলে হারুন ইজাহার।

মুফতি ইজাহারের মাদ্রাসায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) প্রশিক্ষণ চলত বলে অভিযোগ আছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার সঙ্গেও মুফতি ইজাহারের সম্পৃক্ততা আছে বলেও বিভিন্নসময় তথ্য দিয়েছিল বিভিন্ন গণমাধ্যম। তবে মুফতি ইজাহার বরাবর এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন।

বৃহস্পতিবার মুফতি ইজাহারুল ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের চট্টগ্রামের বিভিন্ন আসনে সম্ভাব্য ১৪ জন প্রার্থী নির্বাচন কমিশনের মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ৪ জন, বিএনপির ৪ জন, কল্যাণ পার্টির ৩ জন, নেজামে ইসলাম পার্টির ১ জন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ১ জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ১ জন আছেন বলে সারাবাংলাকে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুনীর হোসাইন খান।

বিজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগ থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র নিয়েছেন চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে মুজিবুর রহমান, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে মোহাম্মদ শাহজাহান, চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং) আসনে মামুন উল হক চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে দিদারুল আলম আবু তাহের।

বিএনপি থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে মোস্তফা কামাল পাশা, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরী ও মোহাম্মদ ইসহাক চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসন থেকে মোহাম্মদ ইদ্রিস।

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনের জন্য মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীরপ্রতীক, চট্টগ্রাম-৯ (কোতয়ালী) আসনে মোহাম্মদ ইলিয়াছ এবং চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর) আসনে মোহাম্মদ শাহজাদা আলম।

এছাড়া বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি থেকে সভাপতি মুফতি ইজাহারুল ইসলাম চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে মোহাম্মদ রফিক এবং স্বতন্ত্র হিসেবে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) থেকে আহমদ রহমান চৌধুরী মনোনয়ন পত্র নিয়েছেন।

সারাবাংলা/আরডি/এমও

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

বিপদসীমার ওপরে পানি, ৪৪ জলকপাট খোলা
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:০৬

তৃতীয় দিনের খেলাও পরিত্যক্ত
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৫৪

সিটিকে সরিয়ে শীর্ষে লিভারপুল
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:২০

পদ্মায় কমেছে পানি, থামছে না ভাঙন
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:১৯

সম্পর্কিত খবর