প্রযুক্তি লোক সংগীতকে উন্নত করেছে: অর্থমন্ত্রী
১৫ নভেম্বর ২০১৮ ২২:৪২
।।এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট।।
এ দেশের মানুষ নৌকা চালান, ধান কাটেন। নারীরা ধান ভানেন। আর এসব কাজ করার সময় গান করেন তারা। তাই বলাই যায় আমাদের কাজগুলোর সঙ্গে গান ও সুর জড়িয়ে আছে অনেক আগে থেকেই। শুধু গান কেন, রয়েছে নাচের চল। লোক জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এসব গান-সুর-নৃত্য সবার সামনে উঠে আসছে ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক লোক সংগীত উৎসব’-এর মাধ্যমে।
উৎসবের উদ্বোধন করার আগে আয়োজকদের ধন্যবাদ দিয়ে শুরু করেন উৎসবের প্রধান অতিথি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
তিনি বলেন, ‘গত চার বছর ধরে এই আয়োজন হয়ে আসছে। এই আয়োজনের মাধ্যমে লোক সংগীত দেশ বিদেশ ও তরুণ সম্প্রদায়ের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া আমাদের দায়িত্ব। লোক সংগীতের সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তি মিলে এই সুর আরও সমৃদ্ধ হয়েছে।’
উৎসবের উদ্বোধনের সময় অর্থমন্ত্রী দর্শক-শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আশা করছি আপনারা এই তিনদিন আনন্দের সাগরে ভাসবেন। শুধু ভাসবেন না ডুববেনও।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। তিনি তরুণদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘লোক গানে মিশে আছে আমাদের এই দেশ। তোমরা এই গান ও সুরে যত বেশি শুনবে ও জানবে তত বেশি জানতে পারবে বাংলাদেশকে।’
এসময় তিনি ‘ওকি গারিয়াল ভাই’ গানের উদাহরণ দেন। তিনি বলেন, ‘এই উদাস সুর আর কোথায় পাবো আমরা! এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা এক মঞ্চে দেশ ও বিদেশের সুর সংগীত শুনতে পারছি। কোথায় যেন সব লোকগানের একটা মিল পাওয়া যায়। সাংস্কৃতিক এই জায়গাতেই আমরা এক।’
আয়োজনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সান ফাউন্ডেশন ও সান কমিউনিকেশনসের চেয়ারম্যান অঞ্জন চৌধুরী। আয়োজন সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি। আয়োজনটি যেন আগামী দুই দিন সবাই মিলে উপভোগ করতে পারেন সবাই, তার জন্য সবার সহযোগিতা চান তিনি। অঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘আনাচে-কানাচে যারা লোক সংগীত শিল্পী আছেন তাদের যা প্রাপ্য তা নিশ্চিত করা এবং তাদেরকে যেন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারি, এটাই আমাদের দায়বদ্ধতা।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন, গ্রামীনফোনের ডেপুটি সিইও ও সিএমও ইয়াসির আজমান, ঢাকা ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবুর রহমান।
সারাবাংলা/পিএ/ আরএ