অঙ্গ সংযোজন আইন সংসদে উঠছে মঙ্গলবার
৮ জানুয়ারি ২০১৮ ১৮:১৬
স্পেশাল করসপন্ডেন্ট
সংসদে আগামীকাল মঙ্গলবার উঠছে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন। এ আইন পাশ হলে দেশের মানুষ কে বিদেশ গিয়ে উচ্চ মূল্যে কিডনি, লিভারসহ মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন করতে হবে না।
আজ সোমবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ‘ওষুধ : প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার ঘোষণা উপলক্ষে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
এর আগে গত ২০১৭ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সংসদে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ‘মানবদেহে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সংযোজন (সংশোধন) বিল, ২০১৭’ উত্থাপন করেন।
সংসদে প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, কোনো হাসপাতাল সরকারের অনুমতি ছাড়া অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন করতে পারবে না। এই আইন কার্যকর হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে অনুমতির জন্য সরকারের কাছে আবেদন করতে হবে। তবে সরকারি হাসপাতালের বিশেষায়িত ইউনিটে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজনের ক্ষেত্রে অনুমতি লাগবে না।
এ বিষয়ে বর্তমান আইনে শুধু পুত্র-কন্যা, পিতা-মাতা, ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রী এবং আপন চাচা, ফুফু, মামা ও খালা-এই ১২ জন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান ও গ্রহণ করতে পারেন। তবে প্রস্তাবিত আইনে ‘নিকট আত্মীয়ে’র সংজ্ঞায় এই ১২ জনের বাইরেও নানা-নানি, দাদা-দাদি, নাতি-নাতনি, আপন চাচাতো-মামাতো-ফুপাতো-খালাতো ভাই-বোনেরাও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান ও গ্রহণ করতে পারবেন। মৃত ব্যক্তির অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও অন্যের শরীরে সংযোজন করা যাবে।
আইনে ‘অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে’র সংজ্ঞায় মানবদেহের কিডনি, হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস, অন্ত্র, যকৃত, অগ্ন্যাশয়, অস্থি, অস্থিমজ্জা, চক্ষু, চর্ম ও টিস্যুসহ মানবদেহে সংযোজনযোগ্য যেকোনও অঙ্গ বা প্রত্যঙ্গকে বোঝানো হয়েছে।
সারাবাংলা/জেএ/এনএস