বিসিএস ফরম পূরণে প্রতারণা: ৩ দোকানির বিরুদ্ধে মামলা
১৭ নভেম্বর ২০১৮ ২০:৫২
।। ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট ।।
রাবি: ৪০তম বিসিএস পরীক্ষার ফরম পূরণে প্রতারণার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পসের স্পন্দন কম্পিউটার দোকানের মালিক মোস্তাক আহমেদ মামুনসহ তিন জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার (১৭ নভেম্বর) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আ. মমিন বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় মামলা দায়ের করেন।
তবে দোকান মালিক মোস্তাকের কাছ থেকে আত্মসাৎ হওয়া টাকা উদ্ধার করে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে প্রক্টর দফতরে প্রায় দুই শ শিক্ষার্থীর হাতে টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
এ সময় অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমরা মোস্তাকের কাছ থেকে এক লাখ ৪৫ হাজার টাকা উদ্ধার করেছি। এখন পর্যন্ত দুই শ পনেরো জনকে টাকা ফিরিয়ে দিয়েছি। যারা এখনও টাকা ফেরত পায়নি তাদেরকেও টাকা ফেরৎ দেওয়া হবে।’
মামলার অন্য দুই আসামি হলেন মোস্তাকের সহযোগী রফিকুল ইসলাম আকাশ (১৯) ও আরিফ হোসেন (২৪)। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে মোস্তাকের দোকানের পাশে ভাই ভাই কম্পিউটার দোকানের মালিক।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ‘আমি গত ৩১ অক্টোবর মোস্তাকের দোকান থেকে বিসিএস পরীক্ষার ফরম পূরণ করি। পরে গত বৃহস্পতিবার আমার ইউজার আইডি আর পাসওয়ার্ড দিয়ে পিএসসির ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে দেখতে পাই, আমি সুস্থ্য স্বাভাবিক হওয়ার পরও আমাকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হিসেবে দেখানো হয়েছে। ওইদিনই আমি তার দোকানে গিয়ে জানতে পারি সে আরও দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর ফরম পূরণে প্রতারণা করে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ছয় শ করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন।’
মতিহার থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা ওসি শাহাদাত হোসেন খান বলেন, ‘মামলার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’
উল্লেখ্য, এ বছর বিসিএস ফরম পূরণের জন্য পিএসসি থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য আবেদন ফি ৭০৫ টাকা এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ১০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। মোস্তাক প্রায় তিন শ সাধারণ শিক্ষার্থীর অজান্তে তাদের প্রতিবন্ধী উল্লেখ করে ফরম পূরণ করে দেয়। পরে গত বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ওই তিনজনকে আটক করে পুলিশে দেয়।
সারাবাংলা/এমআই