প্রাথমিক সমাপনী শুরু, পরীক্ষার্থী ৩১ লাখ
১৮ নভেম্বর ২০১৮ ১০:৪১
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: দেশের প্রায় সাড়ে সাত হাজার কেন্দ্রে একযোগে শুরু হয়েছে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা। এ বছর প্রায় ৩১ লাখ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
আজ রোববার (১৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে দশটায় সারাদেশে একযোগে ইংরেজি বিষয়ে পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা শুরুর ১৫ মিনিট আগেই পরীক্ষার্থীরা ঢুকে পড়েছে কেন্দ্রগুলোতে। কেন্দ্রগুলোর সামনে সকাল ৯টা থেকেই ভিড় করেন অভিভাবকরা। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ।
সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয়ে প্রতিদিন দুপুর ১টা পর্যন্ত চলবে পরীক্ষা। শেষ হবে আগামী ২৬ নভেম্বর।
প্রাথমিকে পরীক্ষায় বসছে ৩০ লাখ শিক্ষার্থী
এ বছর পিইসি পরীক্ষায় কোনো এমসিকিউ বা বহু নির্বাচনী প্রশ্ন নেই। একশ পূর্ণ নম্বরে পরীক্ষা দিতে হবে। ৬টি বিষয়ে আলাদা আলাদা দিনে অনুষ্ঠেয় এ পরীক্ষার কেন্দ্র গুলো সব এলাকা ভিত্তিক। পার্শ্ববর্তী বড় বিদ্যালয়গুলোকে কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। রাজধানীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোতেও শিক্ষার্থীদের আসন নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৩ নভেম্বর সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানান, পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস কিংবা কোনো প্রকার অনিয়মের সুযোগ নেই। নিরাপত্তার বিষয়েও সবাইকে শতভাগ আশ্বাস দেন তিনি।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের বলেন, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আমাদের নিরন্তর প্রচেষ্টা থাকবে। পৃথিবীতে যত উন্নত প্রযুক্তিই আসুক না কেনো কিছু অসাধু মানুষ সেটা অপব্যবহারের চেষ্টা করবেই। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেটা প্রতিহতের চেষ্টা করে যাচ্ছে।
নতুন বছরে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়ার ব্যাপারে সরকারের প্রস্তুতির ব্যাপারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এ ক্ষেত্রে আমাদের প্রস্তুতি যুদ্ধকালীন প্রস্তুতির মতো। যত কিছুই হোক, ঝড়-ঝঞ্ঝা যাই আসুক আমরা বাই নির্ধারিত তারিখেই পৌঁছে দেবো। এরই মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় নতুন বই পৌঁছে দেওয়াও হয়েছে।
২০০৯ সাল থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয় এবং ইবতেদায়ীতে এই পরীক্ষা হচ্ছে ২০১০ সাল থেকে। প্রথম দুই বছর বিভাগভিত্তিক ফল দেওয়া হলেও ২০১১ সাল থেকে গ্রেডিং পদ্ধতিতে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের সমাপনীর ফল প্রকাশ করা হচ্ছে।
আগে এই পরীক্ষার সময় দুই ঘণ্টা থাকলেও ২০১৩ সাল থেকে পরীক্ষার সময় আধ ঘণ্টা বাড়িয়ে আড়াই ঘণ্টা করা হয়।
এ ছাড়া প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে গত বছর থেকে দেশের ৬৪ জেলাকে বিশেষ আটটি অঞ্চলে ভাগ করে আট সেট প্রশ্ন ছাপিয়ে প্রাথমিক ও ইবেতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী নিচ্ছে সরকার।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এ বছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ২৭ লাখ ৭৭ হাজার ২৭০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে, যার মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ১২ লাখ ৭৮ হাজার ৭৪২ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ৫২৮ জন।
অন্যদিকে ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ৩ লাখ ১৭ হাজার ৮৫৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। এতে ছাত্র সংখ্যা ১ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৪ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা ১ লাখ ৫১ হাজার ৩৯ জন। এ ছাড়া বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পরীক্ষার্থী রয়েছে ৩ হাজার ২৯৪ জন। তাদের জন্য ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময় বরাদ্দ থাকবে।
সারাবাংলা/এমএস/এমআই