সময় শেষ, তবুও চলছে ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ
১৯ নভেম্বর ২০১৮ ১৪:৪৫
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা : নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ব্যানার, বিলবোর্ড, পোস্টারসহ বিভিন্ন প্রচার সামগ্রী সরিয়ে ফেলার সময় শেষ হয়েছে রোববার (১৮ নভেম্বর) মধ্যরাতে। তবে বেশিরভাগ প্রার্থীই নিজেদের প্রচার সামগ্রী সরিয়ে না ফেলায় কাজ শুরু করে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরশেন।
কিন্তু এখনও রাজধানীর কোথাও কোথাও দেখা মিলছে এসব প্রচার সামগ্রীর। তাই সোমবারও (১৯ নভেম্বর) চলছে ব্যানার ফেস্টুন সরিয়ে ফেলার কাজ।
এর আগে গত ১৬ নভেম্বর ইসির এক নির্দেশনায় বলা হয়, ১৮ নভেম্বর মধ্যরাত থেকে সব ধরনের প্রচার সামগ্রী সরিয়ে ফেলতে হবে। ওই নির্দেশনায় আরও বলা হয়, মার্কেট, রাস্তা, যানবাহন, সরকারি- বেসরকারি স্থাপনাসহ বিভিন্ন জায়গায় যাদের নামে ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন, লিফলেটসহ প্রচারসামগ্রী রয়েছে, নির্ধারিত সময়ে মধ্যে নামিয়ে ফেলতে বলা হয়।
দুই সিটি করপোরেশনের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী রোববার মধ্যরাতের আগেই রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে থাকা নির্বাচনী প্রচার সামগ্রী সরিয়ে ফেলতে শুরু করেন তারা। কিন্তু ভোররাতের দিকে বিভিন্ন প্রার্থীর সমর্থকরা আবার দেওয়ালে এসব লাগান। ফলে সোমবার সকাল থেকে সংস্থা দুটির প্রায় ৪ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী এসব প্রচার সামগ্রী অপসারণে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বিকেলের মধ্যে অপসারণ কাজ শেষ হবে বলেও আশা করা যাচ্ছে।
তবে এরপর যদি কেউ ফের ব্যানার, ফেস্টুন ইত্যাদি লাগায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে সিটি করপোরেশন।
ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মাসুদ রানা সারাবাংলাকে বলেন, ‘গত দুসপ্তাহ ধরে চলছিল এ অপসারণের কাজ। ইতোমধ্যে আমরা ব্যানার, ফেস্টুন এবং পোস্টারসহ নানান নির্বাচনী সামগ্রী অপসারণ করেছিলাম। কিন্তু ভোর রাতের দিকে ফের নেতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন স্থানের দেয়ালে কিছু পোস্টার লাগায়। যা আমরা আজকে সকাল থেকে অপসারণ করার কাজ করছি। বিকেল নাগাদ আশা করছি কাজ শেষ হবে। তবে আজকের পর যারা ফের এগুলো স্থাপন করবে কিংবা চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
একই কথা বললেন ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ার। তিনি বলেন, সকাল থেকে শুরু হয়েছে নতুন করে লাগানো ব্যানার, পোস্টার অপসারনের কাজ। এরপর আবার যদি কোথায় এসব লাগানো হয় তাহলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে জরিমানা ও কারদণ্ড দেওয়া হবে।
সারাবাংলা/এসএইচ/এসএমএন