ইয়েমেনে যুদ্ধবিরতির জন্য প্রস্তুত হুথি বিদ্রোহীরা
১৯ নভেম্বর ২০১৮ ১০:৫৮
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা জানিয়েছে তারা সৌদি আরব, আরব আমিরাতসহ মিত্রদের ওপর ড্রোন ও মিসাইল আক্রমণ থেকে বিরত থাকবে। রোববার (১৮ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে তাদের পক্ষ থেকে একথা বলা হয়।
বিদ্রোহীরা জানায়, সৌদি-আমিরাত সামরিক জোট যদি শান্তি চায় তবে তারা যুদ্ধবিরতিতে প্রস্তুত।
গৃহযুদ্ধের কারণে ইয়মেনে দুর্ভিক্ষ ও সহিংসতায় লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে যুদ্ধ বন্ধে সব পক্ষের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে। এর আগে, কৌশলগত কারণে গুরুত্বপূর্ণ হোদাইদা বন্দরে আক্রমণ ও সহিংসতা বন্ধের ঘোষণা দেয় সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট।
হুথি গ্রুপটির সুপ্রিম রেভ্যূলশনারি কমিটির প্রধান মোহাম্মদ আলি আল-হুথি বলেন, জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের সাথে আলাপ-আলোচনা এবং তাদের অনুরোধের পর। আমরা মিসাইল ও ড্রোন হামলা বন্ধের ঘোষণা দিতে চাই।
জাতিসংঘের দূত মার্টিন গিফিথ আশা করছেন, চলতি বছরের শেষদিকে সুইডেনে এক আলোচনায় পরিবর্তনকালীন সরকার কাঠামো নিয়ে সব পক্ষের সাথে আলোচনা করা যাবে। তিনি শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদে এ ব্যাপারে গ্রহণযোগ্য নিশ্চয়তা দিতে চেয়েছেন।
গ্রিফিথ জানান, সৌদি সমর্থিত সরকারের বিরুদ্ধে যে গ্রুপটি চার বছর ধরে যুদ্ধ করছে তারা যুদ্ধবিরতিতে প্রস্তুত। সৌদি আরব ও আরব আমিরাত উভয়ই জাতিসংঘ সমর্থিত শান্তি আলোচনা সমর্থন করে।
প্রেসিডেন্ট আব্দে মানসুর হাদিকে ক্ষমতায় বসাতে সৌদি সামরিক জোট ইয়েমেনে কয়েক হাজার বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে হতাহত হয়েছে অসংখ্য বেসামরিক মানুষ। সম্প্রতি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডসহ বেশ কিছু বিষয়ে চাপে থাকা সৌদি আরবকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানায় জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র।
ইয়েমেনে ২০১৫ সালে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়। তখন হুথি বিদ্রোহীরা দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকা দখল নেয় ও প্রেসিডেন্ট আব্দে মানসুর হাদিকে দেশত্যাগে বাধ্য করে। পরে হাদির অনুগত সেনাবাহিনীর একাংশ হুথিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ডাক দেয়। হুথিদের পেছনে ইরানের সমর্থন থাকায় সৌদি আরবের নেতৃত্বে সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশ হাদি সরকারকে পুনরায় ক্ষমতায় বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়। হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামা সৌদি জোটকে সামরিক সহায়তা দিয়ে এগিয়ে আসে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স।
সারাবাংলা/এনএইচ