স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ওষুধের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ওষুধ কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘আপনারা আমার দেশের মানুষের জন্য একটু কম দামে ওষুধ দেবেন। কারণ, এই দেশের অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র; তাদের কথা চিন্তা করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া ‘ওষুধ : প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণা উপলক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশের ওষুধ কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তাদের প্রতি এ আহ্বান জানান। সোমবার (৮ জানুয়ারি) ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
ভেজাল ওষুধ তৈরির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে জানিয়ে এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জীবন বাঁচাতে ওষুধ মানুষের লাগে। কিন্তু ভেজাল ওষুধে মানুষের মৃত্যুর কারণ। ভেজাল ওষুধ তৈরিকারীরা ওষুধ শিল্পের জন্য বাধা।’
অনুষ্ঠানে সালমান এফ রহমান ফার্মাসিউটিক্যালকে প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার ঘোষণা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমরা অনেকদিন ধরেই বলে আসছি, রফতানি খাতে আমাদের দেশের ওষুধ নিয়ে বড় সুযোগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরে আমাদের দায়িত্ব বেড়েছে, আমাদের এখন এই সুযোগকে পূর্ণমাত্রায় কাজে লাগানো উচিত।
তিনি আরও বলেন, ‘ওষুধের কাঁচামালের বিরাট বাজার রয়েছে। আমরা সেটাকে কাজে লাগাতে পারলে ওষুধ কাঁচামাল রফতানি নিজেরাই করতে পারব।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি নাজমুল আহসান পাপন বলেন, ‘বাংলাদেশের চেয়ে আর কোনো দেশ গুণাগুণ বজায় রেখে ওষুধ দিতে পারে না।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ইনসেপ্টা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু মুক্তাদির বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। আমাদের দায়িত্ব বেড়ে গেছে। যেমন করেই হোক আমাদের ওষুধের মান নিশ্চিত করতে হবে।’
ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের ওষুধ খাত সরকারের রাজস্ব আয়ের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। দেশের মোট চাহিদার শতকরা ৯৮ শতাংশ ওষুধ নিজেরাই উৎপাদন করছি। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ ১৪৫টি দেশে ৩ হাজার ১৯৬ কোটি টাকার ওষুধ রফতানি করেছে।’
অনুষ্ঠানে ২০২১ সালে বাংলাদেশের সব ধরনের ওষুধ পণ্য রফতানিকে কাজে লাগিয়ে ১৫ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করার লক্ষ নির্ধারণ করা হয়।
সারাবাংলা/জেএ/এনএস/আইজেকে