আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিরপেক্ষ ও ইসিকে শক্ত থাকার আহ্বান সুজনের
১৯ নভেম্বর ২০১৮ ১৩:৩৬
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিরপেক্ষ ও নির্বাচন কমিশনকে শক্ত ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।
সোমবার (১৯ নভেম্বর) সকালের জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সুজনের সাধারণ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এই নির্বাচন আগের মতই দলীয় সরকারের অধীনে হচ্ছে। আর সরকার মানে প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। দলীয় সরকারের অধীনে যেসব নির্বাচন হয়েছে, তখন দেখা গেছে যে সরকার ক্ষমতায় ছিল তারাই আবার ক্ষমতায় ফিরে এসেছে। সেসব নির্বাচনগুলো প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। সংশয়ের বিষয় হলো এই নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে হচ্ছে, তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে। এজন্য নির্বাচন কমিশনকে শক্ত ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে বলা যায় রোল মডেল। নির্বাচন কমিশনের হাত লম্বা। তারা চাইলে করতে পারে। তারা সাংবিধানিক পদে নিয়োজিত, সুষ্ঠু নির্বাচন করা তাদের দায়িত্ব।
লিখিত বক্তব্যে সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক দিলীপ কুমার সরকার বলেন, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হচ্ছে দলীয় সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায়। সাম্প্রতিককালে অনুষ্ঠিত কিছু নির্বাচনে প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়ায় প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রভাবিত হওয়ার ঝুঁকি আরও বেড়ে গিয়েছে। তাই এই ব্যাপারে কমিশনকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে মনে রাখতে হবে, আগামী নির্বাচন হচ্ছে সংসদ বহাল রেখে। এই নির্বাচনে কোনও কোনও প্রার্থী মন্ত্রী বা সংসদ সদস্যের অবস্থান থেকে ভোট চাইবেন। আবার কেউ কেউ ভোট চাইবেন সাধারণ প্রার্থীর অবস্থান থেকে। তাই সতর্ক থাকতে হবে মন্ত্রী বা সাংসদেরা যেন নির্বাচনি আচরণবিধি যথাযথভাবে মেনে চলেন এবং তারা যেন পদের প্রভাব দেখাতে না পারেন।
তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার মূল দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। তাই সতর্ক থাকতে হবে সাম্প্রতিক কয়েকটি নির্বাচনের মতো নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। ইসিকে আইনি ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে নৈতিকতা ও সাহসিকতার সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা দৃষ্টিগোচর হলে, অভিযোগ দায়েরের অপেক্ষা না করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি কোনও অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। মনে রাখতে হবে সুষ্ঠু , শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের নির্লিপ্ত থাকার সুযোগ নেই।
সারাবাংলা/এমএমএইচ/জেডএফ