Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পক্ষীশালা বানিয়েছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, উদ্বোধন বুধবার


২০ নভেম্বর ২০১৮ ১৭:২৯

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

চট্টগ্রাম ব্যুরো: প্রায় ৩৪ লাখ টাকা খরচ করে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় নির্মাণ করা হয়েছে পক্ষীশালা। বাঘ, সিংহ, জিরাফসহ বৈচিত্র্যময় বিভিন্ন প্রাণীর সমাহারের মধ্যে এবার বিদেশ থেকে আনা ছয় প্রজাতির তিন শতাধিক পাখির কলতানে মুখরিত হবে চিড়িয়াখানা। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বলছে, সবুজ পাহাড়ের পাদদেশে গাছগাছালিতে ঘেরা এই ন্যাচারাল ‘মিনি এভিয়ারি’ দেশের অন্যান্য চিড়িয়াখানার মধ্যে সবচেয়ে বড় পক্ষীশালা।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২১ নভেম্বর) বেলা ১১টায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন এই পক্ষীশালার উদ্বোধন করবেন।

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত কিউরেটর ডা. সাহাদাৎ হোসেন শুভ সারাবাংলাকে জানান, পক্ষীশালা নির্মাণে খরচ হয়েছে ২২ লাখ টাকা। আর হল্যান্ড থেকে পাখি আমদানিতে খরচ হয়েছে ২২ লাখ টাকা। সব টাকাই চিড়িয়াখানার নিজস্ব তহবিল থেকে খরচ করা হয়েছে।

পক্ষীশালায় থাকছে ছয় প্রজাতির ৩৩০টি পাখি। এর মধ্যে আছে লাভ বার্ড, লাফিং ডাভ, ফিজেন্ট, রিং নেড পেরোট, কোকাটেইল এবং ম্যাকাও কেনা হবে।

এরমধ্যে অর্ধেকেরও বেশি পাখি ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় চলে এসেছে। বাকিগুলো ধাপে ধাপে আসবে বলে জানিয়েছেন ডা.শুভ।

তিনি জানান, পক্ষীশালার আয়তন দৈর্ঘে ৬০ ফুট আর প্রস্থে ২৫ ফুট।

১৯৮৯ সালে চট্টগ্রাম নগরীর ফয়’স লেক এলাকায় ছয় একর জায়গা নিয়ে নির্মিত হয় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ চিড়িয়াখানায় বর্তমানে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, বাঘ, সিংহ, হরিণ, কুমির, অজগর, ভাল্লুকসহ প্রায় ৪৭ প্রজাতির প্রাণী।

বিজ্ঞাপন

দীর্ঘদিন বাঘ ও সিংহ ছাড়া থাকা চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ৩৩ লাখ টাকা খরচ করে আনা হয় এক জোড়া বাঘ। এর তার আগে ৫ সেপ্টেম্বর ‘বিনিময়’ প্রক্রিয়ায় রংপুর চিড়িয়াখানায় একটি সিংহী দিয়ে একটি সিংহ আনা হয়।

গত মার্চে আফ্রিকা থেকে আনা হয় ছয়টি জেব্রা, যাতে ব্যয় হয়েছে ৪৮ লাখ টাকা। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা দেশের একমাত্র চিড়িয়াখানা যেটি আগত দর্শনার্থীদের টিকিটের টাকা দিয়ে ব্যয় নির্বাহ হয়।

নিছক প্রাণী প্রদর্শনের বাইরে ব্যতিক্রমী কিছু উদ্যোগও আছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের। এই উদ্যোগের মধ্যে আছে সপ্তাহে একদিন চট্টগ্রাম নগরী ও আশপাশের এলাকার একটি করে স্কুলের শিক্ষার্থীদের এনে বন্যপ্রাণী সম্পর্কে ধারণা এবং তাদের জীবন বাঁচানোর তাগিদ শেখানো হয়। গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই উদ্যোগের মূলকথা হচ্ছে, ‘বন্যপ্রাণী হত্যা নয়, তাদের জীবন বাঁচান।’

সারাবাংলা/আরডি/এমএইচ

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা পাখি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর