‘নির্বাচনের দায়িত্ব পুলিশের ওপর অর্পণ করেছে হুদা কমিশন’
২১ নভেম্বর ২০১৮ ১৩:১১
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দায়িত্ব ‘হুদা কমিশন’ (প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা) পুলিশ বাহিনীর ওপর অর্পণ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার (২১ নভেম্বর) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, ‘বর্তমান সরকারের চরম অনুগত নির্বাচন কমিশন দিয়ে কোনোভাবেই সুষ্ঠু ভোট সম্ভব নয়। আরেকটি পাতানো নির্বাচনের পথে হাঁটছে কমিশন। এখন পর্যন্ত নির্বাচনি পরিবেশ তৈরি না হওয়ার জন্য দায়ী নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ প্রশাসন।’
আরও পড়ুন- চলছে শেষ দিনের সাক্ষাৎকার, সবাই আশাবাদী
তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো— একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পুরো দায়িত্ব পুলিশ বাহিনীর ওপর অর্পণ করেছে হুদা কমিশন। প্রায় সাড়ে ৬ লাখ নির্বাচনি কর্মকর্তার অধিকাংশই আওয়ামী লীগের দলীয় লোকদের বাছাই করে তালিকা প্রস্তুত করছে পুলিশ।’
এরই মধ্যে সারাদেশে ৪১ হাজার প্রিজাইডিং অফিসারের তালিকা পুলিশ প্রস্তুত করে ফেলেছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, এখন দুই লাখ সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও চার লাখ পোলিং অফিসারের তালিকাও প্রস্তুত করার দায়িত্ব পুলিশই পালন করছে। পুলিশের প্রস্তুত করা তালিকা এখন চূড়ান্ত করার পথে ‘তাবেদার নির্বাচন কমিশন।’
পুলিশ যে তালিকা প্রস্তুত করছে, তার যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ বিএনপির হাতে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ও অনলাইনে পুলিশ কর্তৃক নির্বাচনি কর্মকর্তাদের তালিকা প্রস্তুত করার খবর বড় করে প্রকাশিত হলেও নখ-দন্তহীন কমিশন রহস্যজনক নীরবতা পালন করছে। ক্ষেত্র বিশেষে অস্বীকারও করছে। দিবালোকের মতো স্পষ্ট যে, জনগণের ভোটারাধিকার আবার হরণ করার জন্য নতুন চক্রান্তে মেতেছে সরকার ও নির্বাচন কমিশন।’
রিজভী বলেন, ‘খুলনায় সম্ভাব্য নির্বাচনি কর্মকর্তাদের তালিকা করেছে খুলনার হরিণটানা থানা পুলিশ। তালিকা প্রস্তুত করার আগে নির্বাচনি কর্মকর্তাদের বাড়ি বাড়ি তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। সরকারবিরোধী কেউ থাকলে পুলিশের তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকায় দেখা গেছে, চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৭৪ জন শিক্ষকের নাম। এদের ভেতরে ৬৩ জন বা ৮৫ শতাংশই আওয়ামী লীগ সমর্থক। একইভাবে সারাদেশে তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রতিটি নির্বাচনে পুলিশ বেপরোয়া কর্মকাণ্ড করেছে। বিশেষ করে খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে পুলিশ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনের পর রাজশাহী ও বরিশালে জঘন্য নির্বাচন করেছে এই কমিশন। পুলিশ নিজেরাই ব্যালটে সিল মেরেছে। পোলিং এজেন্ট ও সাংবাদিকদের মারধর করেছে।’
সারাবাংলা/এজেড/টিআর