তাবিথই প্রার্থী, তফসিলের পর নাম ঘোষণা
৯ জানুয়ারি ২০১৮ ০৮:৫১
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ( ডিএনসিসি) নির্বাচনে তাবিথ আউয়ালই বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের মেয়র প্রার্থী। তবে কৌশলগত কারণে এখনই নাম ঘোষণা করছে না বিএনপি । নির্বাচনের তফসিলের পরই প্রার্থী ঘোষণা করা হবে ।
সোমবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে জোটের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। রাত সোয়া ৯টায় গুলশানে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে শুরু হয়ে রাত সোয়া ১১টায় শেষ হয় এ বৈঠক।
বৈঠক শেষে জোট শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, বৈঠকের মূল বিষয় ছিল ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। এই নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিষয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। গতবার নির্বাচনে অংশ নেওয়া তাবিথ আউয়ালকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরেক শরিক বাংলাদেশ ন্যাপের মহাখসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া সারাবাংলাকে বলেন, বৈঠকের মূল এজেন্ডা ছিল ডিএনসিসি নির্বাচন। সিদ্ধান্ত হয়েছে, ডিএনসিসি নির্বাচন ঐক্যবদ্ধভাবে করবে ২০ দলীয় জোট। প্রার্থী চূড়ান্ত করতে বেগম জিয়ার ওপর পুরো দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকে প্রার্থী হিসেবে বেছে নেবেন। জোট শরিকরা তার জন্যই মাঠে কাজ করবে।
তিনি বলেন, জোটের কয়েকজন নেতা তাবিথ আউয়ালকে নিয়ে আলোচনা করেছেন। রাজধানীতে আইনজীবীদের ও ইসলামী দলগুলো নিয়ে পৃথক দু’টি সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান জোটের এই শীর্ষ নেতা।
বৈঠকসূত্রে জানা গেছে, মেয়র প্রার্থী হিসেবে ঢাকা মহানগর (উত্তর) জামায়াতের আমীর সেলিম উদ্দিনের নাম ঘোষণার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে দলটির কর্মপরিষদের সদস্য আবদুল হালিম খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেন, তফসিল ঘোষণার আগে অনেকেই প্রার্থী ঘোষণা করে থাকে; আমরাও করেছি। তবে সিদ্ধান্ত আপনার। আপনি যাকে প্রার্থী হিসেবে বেছে নেবেন আমরা তাকেই সমর্থন দেব।
তবে এ ব্যাপারে জামাতের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কথা বলার পরামর্শ দেন আবদুল হালিম ।
ডিএনসিসি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে জোটের আরেক শরিক বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থের নাম শোনা যাচ্ছিল কিছু দিন ধরে । কিন্তু জোটের বৈঠকে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন তিনি ।
বৈঠকসূত্রে জানা গেছে, আন্দালিব রহমান পার্থ পরিস্কারভাবে বলেছেন ডিএনসিসি নির্বাচন জোটগতভাবেই হতে হবে। সেক্ষেত্রে বিএনপির প্রার্থীই সবচেয়ে ভালো হবে।
এছাড়া খালেদা জিয়াকে বাইরে রেখে আগামী নির্বাচনে জোটের কেউ অংশ নেবে না বলেও আশ্বাস দিয়েছেন বৈঠকে অংশ নেওয়া জোট নেতারা। তবে নির্বাচনে অংশ নেওয়াটাকেই বর্তমান পরিস্থিতিতে শ্রেয় মনে করছেন জোটের বেশিরভাগ শরিক দল।
সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে কিছু দাবি দাওয়া আদায় করে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার পক্ষে মত দেন সবাই। কারণ, গত নির্বাচন বয়কট করায় আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে তাদের জন্য! নইলে নিবন্ধন হারাতে হবে।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমেদ আবদুল কাদের, পিপলস লীগের সভাপতি গরীবে নেওয়াজ, জাগপার সভাপতি রেহেনা প্রধান, ইসলমী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান আব্দুর রাকিব, ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ আহমদ প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/টিএম