Thursday 17 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রিন্স মহিদল পুরস্কার পাচ্ছেন জন ডি ক্লেমেন্স ও ইয়ান হোমগ্রেন


২২ নভেম্বর ২০১৮ ১৫:২৩ | আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৮ ১৫:২৯
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: তিরিশ বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্বে একমাত্র মুখে খাওয়ার নিরাপদ, কার্যকরী ও সাশ্রয়ী কলেরা টিকা আবিষ্কার, মূল্যায়ন ও প্রয়োগ নিয়ে কাজ করা আমেরিকান এপিডেমিওলজিস্ট অধ্যাপক জন ডি ক্লেমেন্স ও সুইডিশ ইমিউনোলজিস্ট অধ্যাপক ইয়ান হোমগ্রেন পাচ্ছেন প্রিন্স মহিদল পুরস্কার-২০১৮।

এ টিকা আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, হাইতি এবং এশিয়াতে কলেরা নিয়ন্ত্রণে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। যা কীনা অসংখ্য সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবন রক্ষা করে, যা এখনও বিদ্যমান রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ বা আইসিডিডিআর,বি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। প্রিন্স মহিদল ফাউন্ডেশনের সভাপতি থাই রাজকুমারী মাহা চক্রী সিরিন্ধর্ন।

বিজ্ঞাপন

আগামী বছরের জানুয়ারিতে রাজকুমারী মাহা চক্রী সিরিন্ধর্ন-এর উপস্থিতিতে এ পুরস্কার দেওয়া হবে যেখানে বিজয়ীরা নিজেদের কাজ সম্পর্কে জানাবেন।

১৯৯২ সালের জানুয়ারিতে জনস্বাস্থ্য এবং ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগে নানা অগ্রগতি ও অবদানের জন্য থাইল্যান্ড এই প্রিন্স মহিদুল পুরস্কারের প্রবর্তন করে। থাইল্যান্ডের আধুনিক মেডিসিনের জনক এবং দশম রাজা রামা-র পিতামহ প্রিন্স মহিদল এর সম্মানে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

ফাউন্ডেশনটি প্রতিবছর জনস্বাস্থ্য এবং মেডিসিন এই দুটি বিভাগে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে প্রিন্স মহিদল পুরস্কার প্রদান করে থাকে।

আইসিডিডিআর,বি র নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক জন ডি ক্লেমেন্স বলেন, ‘প্রিন্স মহিদল পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়ে সম্মানিত এবং কৃতজ্ঞতাবোধ করছি। আইসিডিডিআর,বি যেখানে কলেরার টিকার কাহিনী শুরু, তার নির্বাহী পরিচালক হিসেবে কার্যরত অবস্থায় এ পুরস্কার প্রাপ্তি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।’

এ পুরস্কারপ্রাপ্তি এবং এর আগে জনস্বাস্থ্যে অবদান রাখা বিজ্ঞানীদের তালিকাতে নিজে নাম যোগ হওয়াকে ‘এক বড় সম্মান’ উল্লেখ করে অধ্যাপক ইয়ান হোমগ্রেন বলেন, ‘অধ্যাপক জন ক্লেমেন্সের সঙ্গে এ সম্মান ভাগ করতে পেরে আমি আনন্দিত, যার সঙ্গে আমি ৩৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করেছি এবং যার কাছে টিকার এপিডেমিওলজি বিষয়ে শিখেছি।’

একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সুইডেন, ভিয়েতনাম, ইন্ডিয়া এবং বাংলাদেশের আইসিডিডিআর,বি-র বিজ্ঞানী এবং দীর্ঘদিনের কলেরা টিকা নিয়ে কাজের সহযোগীদের প্রতি আমি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

১৯৮০ সালের শুরু থেকে উভয় বিজ্ঞানীই কলেরা টিকা উন্নয়ন, লাইসেন্স এবং বিশ্বব্যাপী অনুমোদনের জন্য আইসিডিডিআর,বি এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

তাদের এ অর্জনে আইসিডিডিআর,বি-র ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ম্যাক্সিন হোয়াইটেকার অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘প্রফেসর জন ক্লেমেন্স এবং প্রফেসর ইয়ান হোমগ্রেনের কলেরা টিকার আবিষ্কার, উন্নয়ন এবং বহুল ব্যবহারের অবদানের জন্য তাদের এ পুরস্কার অর্জনে আইসিডিডিআর,বি সম্মানিত।’

একইসঙ্গে একে বাংলাদেশের মানুষের সম্মান উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই টিকা সম্প্রতি বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীসহ (বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক) বিশ্বব্যাপী অসংখ্য মানুষের জীবনরক্ষা করেছে।’

সারাবাংলা/জেএ/একে

আইসিডিডিআর প্রিন্স মহিদল পুরস্কার বি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর