নাইকো দুর্নীতি মামলা: খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এফবিআইয়ের প্রতিবেদন
২২ নভেম্বর ২০১৮ ১৯:২০
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলায় ঘুষ নেওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে এফবিআই ও কানাডার পুলিশের প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেলের পক্ষে থেকে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয় বলে সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেন মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু।
তিনি বলেন, আগামী ৯ ডিসেম্বর এ প্রতিবেদনের ওপর শুনানি জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত। প্রতিবেদন দাখিলের সময় অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক মাহমুদুল কবীরের মামলাটির বিচারকার্য পরিচালনা করছেন।
এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘এফবিআইয়ের প্রতিবেদন জমা হয়েছে। তবে এটি ওই মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত কোনো বিষয় নয়।’
এর আগে গত ১৪ নভেম্বর ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের পক্ষে অভিযোগ গঠনের আংশিক শুনানি শেষ করে সময়ে আবেদন করেন। এ দিন বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ৩ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।
নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন।
পলাতক অন্য তিন আসামি হলেন ৩ হলেন সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহা-ব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
চলতি বছরের ৫ মে এ মামলায় অভিযুক্ত আরেক আসামি সাবেক সচিব শফিউর রহমান মারা যাওয়ার ফলে বর্তমানে আসামি সংখ্যা- ১০।
গত বছরের ২০ নভেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ মামলার ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আবেদন জানান।
কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।
২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান।
অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
নাইকো ছাড়াও গ্যাটকো ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তা বাতিলের আবেদন জানিয়ে পৃথক রিট করেছিলেন খালেদা জিয়া। এসব রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত ও রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
কয়েক বছর ধরে স্থগিত থাকার পর মামলাগুলো সচলের উদ্যোগ নিয়ে রুল নিষ্পত্তির আবেদন জানায় দুদক। পরে গতবছর পৃথক পৃথক শুনানি শেষে মামলা তিনটি সচলের রায় দেন হাইকোর্ট।
সারাবাংলা/এআই/এজেডকে/একে