নাইকো মামলা: ঘুষের প্রমাণ পেয়েছে এফবিআই ও কানাডার পুলিশ
২২ নভেম্বর ২০১৮ ২২:৫৪
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: নাইকোর আর্থিক লেনদেন বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে বাংলাদেশে ঘুষ দেওয়ার প্রমাণ পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরা অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) ও কানাডার রয়াল মাউন্ডেড পুলিশ।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম তার নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
মাহবুবে আলম বলেন, ‘বিএনপি সরকারের আমলে নাইকো আমাদের দেশের কয়েকটি গ্যাস ফিল্ড লিজ নেওয়ার চেষ্টা করছিল। কিন্তু নাইকো নানারকম অসৎ পন্ধা অবলম্বন করে তৎকালীন কিছু ক্ষমতাসীন ব্যক্তি বিশেষ করে হাওয়া ভবনকে প্রভাবিত পূর্ব ছাতক গ্যাস ফিল্ড গ্রহণ করে। এটাকে পরিত্যক্ত গ্যাস ফিল্ড হিসেবে লিজ দেওয়া হয়। কিন্তু এটা পরিত্যক্ত ছিল না।’
‘ঘুষের বিনিময়ে ওই গ্যাস ফিল্ড লিজ দেওয়া হয়েছিল’ জানান মাহবুবে আলম।
তিনি বলেন, ‘কানাডার পুলিশ এটার তদন্ত করে। আমাদের দুর্নীতি দমন কমিশনও এ বিষয়ে মামলা করে।’
‘২০১৭ সালে এফবিআই কর্তৃপক্ষ ও কানাডাকে অনুরোধ করেছিলাম তারা যে তথ্য পেয়েছে তা যেন আমাদের দেয়। কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ ও এফবিআই স্পেশাল এজেন্ট তারা যা পেয়েছে তা আমাদের হস্তগত হয়েছে। আমরা স্পেশাল-৯ আদালতে গিয়ে বৃহস্পতিবার দরখাস্ত দাখিল করেছি। আবেদন করেছি যারা এই তদন্ত করেছেন তারা যাতে এ দেশে এসে তাদের পাঠানো প্রতিবেদনের স্বপক্ষে আদালতে বক্তব্য পেশ করতে পারে’ বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
তদন্তের বিষয়বস্তু সম্পর্কে তিনি জানান, এই টাকা কানাডা থেকে কীভাবে বাংলাদেশে এসেছে এবং ঘুষ দেওয়া হয়েছে তা ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। গ্যাসে পরিপূর্ণ একটা ভার্জিন ফিল্ডকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এভাবে নাইকো আমাদের দেশের ক্ষতিসাধন করেছে। খালেদা জিয়া ও তার সেই সময়কার অনেক সহযোগী আছেন এ মামলার আসামি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘৭-৮ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন এটি। সেটি আমাদের হস্তগত হওয়ায় আদালতে দিয়েছি। আমাদের আবেদনের ভিত্তিতে আদালত পরবর্তী দিন ঠিকও করেছে।’
সারাবাংলা/এজেডকে/একে
আরও পড়ুন
নাইকো মামলা: খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এফবিআইয়ের প্রতিবেদন