বুড়িগঙ্গায় বিএনপি নেতার লাশ, ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ সিইসির
২৩ নভেম্বর ২০১৮ ১১:৩৩
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে সাক্ষাৎকার দিতে রাজধানীতে এসে নিখোঁজ হওয়া যশোর বিএনপির সহ-সভাপতি আবু বকর আবু’র লাশ বুড়িগঙ্গা নদীতে পাওয়ার ঘটনায় পুলিশকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নরুল হুদা।
শুক্রবার সকালে (২৩ নভেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন- ‘বুড়িগঙ্গায় বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীর লাশ’
বিএনপির অভিযোগ, আবু দলের মনোনয়ন বোর্ডে সাক্ষাৎকার দিতে ঢাকা এসেছিলেন। একটি হোটেলে ছিলেন তিনি। রোববার (১৮ নভেম্বর) তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তুলে নিয়ে যাওয়ার পর তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে বৃহস্পতিবার তার লাশ পাওয়া যায় বুড়িগঙ্গায়।
এ বিষয়ে সিইসি বলেন, তিনি পুলিশ হেফাজতে থাকলে আমরা পুলিশকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেবো, যেন তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওতায় আনা হয়।
ইভিএমের সিদ্ধান্ত দুয়েকদিনের মধ্যেই
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কতটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে, সে বিষয়ে আগামী দুয়েক দিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠান জানান সিইসি নুরুল হুদা।
তিনি বলেন, ইভিএম একটি নতুন উদ্যোগ। ব্যালটে ভোট দেওয়ার যে ঝামেলা, সেটি দূর করতে হবে। সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে কোনো আইনি বাধা নেই। দুয়েকদিনের মধ্যে কতটি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে, তা চূড়ান্ত করা হবে।
কে এম নূরুল হুদা বলেন, যেখানে ইভিএম ব্যবহার হবে, সেখানে কয়েকদিন আগে মানুষকে বোঝাতে হবে। যেন কোনো সমস্যা না থাকে। বিভিন্ন দল ইভিএমের বিরোধিতা করে। তারা এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখুক। তাদের লোক দিয়ে ইভিএমের টেকনিক্যাল বিষয় পরীক্ষা করুক। তাহলে তাদের সংশয় কেটে যাবে।
প্রশিক্ষকদের ধৈর্যধারণের আহ্বান
জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের ধৈর্য সহকারে প্রশিক্ষণ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সিইসি তিনি বলেন, নিরপেক্ষতা, কারিগরি দক্ষতা, নির্বাচন পরিচালনায় আইন, বিধি-বিধান জানা দরকার। নির্বাচন পরিচালনা বিষয়ে আপনারা জানলেও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের সেটা জানা থাকার কথা নয়। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আপনারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আপনারা তাদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দেবেন।
প্রশিক্ষকদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে। কারণ তারা রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি। তারা থাকেন মাঠে, তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। অনেক সময় তীর্যক কথা বলতে পারেন, কিন্তু আমলে নেওয়া যাবে না। তারা প্রশ্ন করবেন, জানতে চাইবেন; সেগুলো তাদের বুঝাবেন।
নুরুল হুদা বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যারা আছেন, তাদের সমস্যাগুলো বুঝতে হবে। তাদের সমস্যাগুলো দেখতে হবে। আগে এটি ছিল না, এখন সেটা করতে হবে। তাদের প্রশ্ন শুনে ধৈর্য ধরে উত্তর দিতে হবে।
সিইসি আরও বলেন, ৩০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি নিতে হবে। দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই দিনটিতে জনগণ তাদের প্রতিনিধিকে নির্বাচন করবে। দিনটি রাজনৈতিক দলসহ সবার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন।
সারাবাংলা/জিএস/জেএএম/টিআর