আদালতের আদেশে ৯ ঘণ্টা আগেই স্থগিত কেআইবি’র নির্বাচন!
২৩ নভেম্বর ২০১৮ ২১:১৬
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
মাত্র ৯ ঘণ্টা পরেই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (কেআইবি)-এর ২০১৯-২০ মেয়াদের নির্বাচন। এজন্য ভোট গ্রহণের সকল প্রস্তুতিও সম্পন্ন করা হয়েছিল। নির্বাচনকে ঘিরে বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) রাত ১২টা পর্যন্তও ছিল উৎসব মুখর পরিবেশ। কিন্তু রাত ১২টা ১০ মিনিটে আদালত কর্তৃক এক আদেশে নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশনা আসে কেআইবির কাছে।
শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে কেআইবির সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে এসব কথা বলেন কেআইবির বর্তমান দপ্তর সম্পাদক এম এম মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, এদিন সকাল নয়টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মোট ৫১টি ভোট কেন্দ্রে প্রায় ত্রিশ হাজার ভোটারের জন্য সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছিল।
প্রায় সকল প্রার্থী নিজ নিজ প্রচেষ্টায় ভোটারদের কাছে গণ-সংযোগ করলেও কয়েকজন প্রার্থী হঠাৎ করে কোনো রকমের অনিয়ম কিংবা অভিযোগ ছাড়াই আদালতে অভিযোগ দিয়ে নির্বাচন স্থগিত করার অপচেষ্টা করেছে। যে কারণে আজকের নির্বাচন আদালতের পরবর্তী নির্দেশনা পর্যন্ত স্থগিত হয়ে গেল।
মিজানুর রহমান আরও বলেন, নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ কর্তৃক ঐক্যের প্রতীক হিসেবে কৃষিবিদ আ ফ ম বাহা উদ্দিন মনোনীত কৃষিবিদ ড. নীতীশ চন্দ্র দেবনাথ ও কৃষিবিদ মোঃ খায়রুল আলম প্রিন্স নেতৃত্বাধীন কৃষিবিদবৃন্দ নির্বাচনী প্রচারাভিযানে সারা বাংলাদেশের সব কৃষিবিদদের অকুণ্ঠ সমর্থন লাভ করেন।
অন্যদিকে কৃষিবিদ ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এমপি ও কৃষিবিদ মোঃ আব্দুল মান্নান এমপির নেতৃত্বাধীন কৃষিবিদরাও গতকাল বিকেল পর্যন্ত বরিশাল, ফরিদপুর ও বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচারাভিযানে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, তারা সারা দেশে প্রচারাভিযানে কৃষিবিদদের সাড়া না পেয়ে, সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হয়ে আজকের নির্বাচনে ভরাডুবি ও পরাজয় বরণের ভয়ে মাঝরাতে ষড়যন্ত্র করে আদালতের দ্বারস্থ হয়ে নির্বাচন স্থগিতের আদেশ এনেছেন।
দপ্তর সম্পাদক বলেন, আদালতের নোটিশ গ্রহণে নির্বাচন কমিশনকে বাধ্য করতে মাঝরাতে কৃষিবিদ মোঃ আব্দুল মান্নান এমপি ফোন করে হুমকি প্রদান করেছিলেন বলে কমিশন আমাদেরকে জানিয়েছেন। এ ঘটনায় নির্বাচনমুখী সম্মানিত কৃষিবিদরা হতবাক ও মর্মাহত হয়েছেন। ক্ষোভে দুঃখে নিন্দা এ ধিক্কার জানাচ্ছেন। তাদের এমন চক্রান্তের বিরুদ্ধে সারাদেশের ৫১টি কেন্দ্রে এখনও কৃষিবিদরা জড়ো হয়ে ধিক্কার ও নিন্দা জানাচ্ছেন।
এম এম মিজানুর রহমান বলেন, তাদের মনোনীত একজন প্রার্থী ড. আজিজ আদালতের কাছে যে কারণগুলো উল্লেখ করে নির্বাচন স্থগিতের আদেশ এনেছেন সেটি হাস্যকর ও ভিত্তিহীন। তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, ভোটার তালিকায় নাকি কোনো কোনো ভোটারের ঠিকানা ও পেশা উল্লেখ নাই। অথচ কৃষিবিদ স্বব্যাখ্যায়িত একজন পেশাজীবীর নাম বা ঠিকানা না জানার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু কৃষিবিদরা আ ফ ম বাহা উদ্দিনের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ তাতে তারা ফাটল ধরাতে না পেরে আদালতের মাধ্যমে নির্বাচন স্থগিত করে কৃষিবিদদের আজ দুঃখের সাগরে ভাসিয়েছেন। যেহেতু আদালত স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছে আমরা সে নির্দেশ মানতে বাধ্য এবং আদালতের নির্দেশে আশা করছি আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন করার নির্দেশ আমরা পাবো।
সারাবাংলা/এসএইচ/এনএইচ