Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শরিকদের ৩০ আসন দিচ্ছে বিএনপি


২৪ নভেম্বর ২০১৮ ১৯:০৯

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: প্রধান রাজনৈতিক মিত্র জামায়াতসহ ২০ দলীয় জোটের শরিকদের জন্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বসাকুল্যে ৩০টি আসন ছেড়ে দিচ্ছে বিএনপি। আর নতুন মিত্র জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আসন সমন্বয়ের বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে শনিবার রাতের মধ্যেই এ বিষয়টি চূড়ান্ত হতে পারে বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের অন্যতম শরিকদল জামায়াতের জন্য ১৭টি আসন ছেড়ে দিচ্ছে বিএনপি। ২০ দলীয় জোটের একক দল হিসেবে বিএনপির পর জামায়াত-ই পাচ্ছে দ্বিতীয় সর্বাধিক আসন। তবে জামায়াতের পক্ষ থেকে আরো অন্তত তিনটি আসন দাবি করা হয়েছে।

যদিও বিএনপির নীতিনির্ধারকরা জামায়াতকে আকার-ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছে, নিবন্ধনহীন একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে এই মুহূর্তে ১৫/১৬টির বেশি আসন তারা পাবে না। নানা সমীকরণ ও বাস্তবতার নিরীখে এই ১৭টি আসন নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে জামায়াতকে।

২০ দলীয় জোটের তৃতীয় সর্বাধিক আসন পাচ্ছে ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। তাদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে পাঁচটি আসন।

এরমধ্যে দলের চেয়ারম্যান ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম (চট্টগ্রাম-১৪), মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ (কুমিল্লাহ-৭), সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহদাত হোসেন সেলিম (লক্ষ্ণীপুর-১), আব্দুল করীম আব্বাসী ( নেত্রকোণা-১) চূড়ান্ত হয়েছে।

বিএনপির ছেড়ে দেওয়া অন্য আসটির জন্য এলডিপির শীর্ষ নেতা আব্দুল গনি (মেহেরপুর-২), অধ্যাপক আব্দুল্লাহ (চাঁদপুর-৩), নুরুল আলম (চট্টগ্রাম-৭) ও মঞ্জুর মোরশেদ (ময়মনসিংহ-১০)— এই চার জনের নাম আলোচনায় আছে। তবে এলডিপি চেষ্টা করছে,পাঁচটির জায়গা আটটি করা যায় কী না।

বিজ্ঞাপন

বিএনপির কাছ থেকে তিনটি আসন পাচ্ছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম। দুই ভাগ হওয়া দলটির একাংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন নূর হোসাইন কাসেমী। আরেক অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মুফতি মো. ওয়াক্কাস। এদের মধ্যে আসন সমন্বয় নিয়ে একটু জটিলতা তৈরি হলেও বিএনপির সাফ কথা, তাদের জন্য তিনটি আসন ছেড়ে দেওয়া হবে। এই তিনটি নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে নিতে হবে।

এ ছাড়া জোটের অন্যতম শরিক দল বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপির) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থকে একটি আসন ছেড়ে দিচ্ছে বিএনপি। যদিও ঢাকা-১৭ ও ভোলা-১ আসন চেয়েছিলেন পার্থ। কিন্তু তার জন্য একটি আসন-ই ছাড়ছে বিএনপি। সেটা ভোলা-১

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহম্মদ ইবরাহিমের জন্য চট্টগ্রাম-৫ আসন ছেড়ে দিচ্ছে বিএনপি। ২০০৮ সালে ঢাকা-১৭ আসনে নির্বাচন করেছিলেন তিনি। এবার চট্টগ্রাম-৫(হাটহাজারী) অথবা ঢাকা-১৭ নম্বর আসনটি দাবি করেছিলেন তিনি। বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম-৫ আসনটি ছেড়ে দেওয়ার।

জোটের আরেক শরিক খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমেদ আব্দুল কাদেরের জন্য হবিগঞ্জ-৪, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দারের জন্য পিরোজপুর-১, এবং জাগপার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তাসমিয়া প্রধানের জন্য পঞ্চগড়ের একটি আসন ছেড়ে দিচ্ছে বিএনপি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, আগামী দুই দিনের মধ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আসন সমন্বয়ের পর ২৬ নভেম্বর বিকেলের মধ্যে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা করবে বিএনপি। সেখানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, ২০ দলীয় জোটের শরিকদল ও বিএনপির কে কোথায় নির্বাচন করবেন— সে বিষয়টি বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। তবে সবগুলো আসনেই বিকল্প প্রার্থী রাখা হবে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত আসনগুলো ঝুঁকিমুক্ত রাখতে একেক আসনে একাধিক প্রার্থী রাখবে বিএনপি।

বিজ্ঞাপন

এ সব ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান সারাবাংলাকে বলেন, ‘আসন সমন্বয়ের বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। কে কয়টি পাবে— সে বিষয়টি এখনই নিশ্চিত করে বলা যাবে না। তবে ২০ দলীয় জোটের নিবন্ধিত দলগুলো যৌক্তিকতার ভিত্তিতে জোটের মনোনয়ন পাবে।

সারাবাংলা/এজেড/একে

চার দলীয় জোট জাতীয়-নির্বাচন বিএনপি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর