‘বিজ্ঞাপনের বাজারে টেলিভিশনকেও ছাড়িয়ে যাবে ডিজিটাল মার্কেটিং’
২৪ নভেম্বর ২০১৮ ২০:২৯
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: দেশের বিজ্ঞাপনের বাজারে ডিজিটাল মার্কেটিং আগামী পাঁচবছরে টেলিভিশনকেও ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
শনিবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে আয়োজিত পঞ্চম ডিজিটাল মার্কেটিং সামিটের এক সেশনে বক্তারা এ আশা প্রকাশ করেন। ‘কনটেন্ট ম্যাটারস’ এর পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম এ সামিটের আয়োজন করে।
‘ডিজিটাল অ্যাড বাজেট: রেভিনিউ ফর অল’ শীর্ষক সেশনে ‘কন্টেন্ট ম্যাটারস’ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এ এস এম রফিক উল্লাহ সঞ্চালনা করেন। এতে জিটিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমান আশরাফ ফয়েজ কন্টেন্টের গুণগত মান, বাজেট ও আয়ের নানা দিক তুলে ধরেন।
প্যানেল আলোচনায় আরও অংশ নেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের হেড অব ডিজিটাল মার্কেটিং আজিম হোসাইন, অ্যানালাইজেন’র ম্যান অব স্টিল রিসালাত সিদ্দিক ও বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশস লিমিটেডের হেড অব ডিজিটাল মার্কেটিং মুকিত আহমেদ।
জিটিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমান আশরাফ ফয়েজ বলেন, ‘ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের বিজ্ঞাপনে নগদে আয় আসে। ইউটিউবের কোনো একটি ভিডিও থেকেই লাখ লাখ টাকা আয় করা যায়। তবে এক্ষেত্রে কন্টেন্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ। র্যাবিট হোল ও বায়োস্কোপের মতো দেশীয় প্রতিষ্ঠান থেকেও আয় আসে।’
তিনি বলেন, ‘ইউটিউব থেকে বড় লোক হয়ে যাবো তা নয়, তবে বড়লোক হতে হলে কী করতে হবে তা জানতে হবে। আমরা আমাদের কন্টেন্ট অনলাইনে বিক্রি করছি। আর প্রতিটি কন্টেন্টই কিন্তু অর্গানিক মার্কেটিং।’
কন্টেন্ট ম্যাটারস এর সিইও এবং সারাবাংলা.নেট’র ব্যবস্থাপনা সম্পাদক এ এস এম রফিক উল্লাহ বলেন, ‘আগামী পাঁচ থেকে সাত বছরের মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং টেলিভিশনকে ছাড়িয়ে যাবে। এ খাতে ভবিষ্যতে দেশে নতুন নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। দক্ষ কর্মী তৈরির সঙ্গে সঙ্গে খাত সংশ্লিষ্টদের আরও গভীরভাবে ভাবতে হবে।’
অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া এক মার্কেটারের প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে বিজ্ঞাপন খরচ নির্ভর করে গ্রাহকের ওপর। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ইউটিউবেও বেশি খরচ হতে পারে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ফেসবুকে খরচ বেশি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কন্টেন্ট থেকে আয়ের বিষয়টি কন্টেন্টের ওপরই নির্ভর করে।’
অ্যানালাইজেন’র ম্যান অব স্টিল রিসালাত সিদ্দিক বলেন, ‘কন্টেন্ট থেকে আয়ের ধারণাটি নতুন নয়। এমন কন্টেন্ট বানাতে হবে যা মানুষ আগ্রহ নিয়ে দেখবে।’
প্রাণ আরএফএল গ্রুপের হেড অব ডিজিটাল আজিম হোসাইন বলেন, ‘আগামী পাঁচ বছরে দেশের ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি ঘটবে। কন্টেন্ট তৈরির বিষয়টি ডিফারেন্ট অ্যাঙ্গেল থেকে ভাবতে হবে। আমাদের আরও বেশি বেশি কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে।’
বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশস লিমিটেডের হেড অব ডিজিটাল মার্কেটিং মুকিত আহমেদ বলেন, ‘কন্টেন্ট হতে হবে যোগাযোগপূর্ণ এবং যা সহজেই মানুষকে আকর্ষণ করবে।’
এবারের সামিটের পার্টনার জিটিভি ও ডেইলি স্টার। সম্মেলনের সার্বিক সহোগিতায় রয়েছে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ।
দিনব্যাপী এই সম্মেলনে ডিজিটাল প্রফেশনালস এবং বিভিন্ন খাতের প্রায় ৪শ’ অতিথি অংশ নেন। এতে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা তুলে ধরেন তাদের মতামত। খাতটিকে এগিয়ে নেওয়ার বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেন তারা। তাদের বক্তব্যে উঠে আসে দক্ষ কর্মী তৈরির তাগিদও।
সারাবাংলা/ইএইচটি/একে