Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় এক ইঞ্চি জমিও ফেলে রাখা যাবে না’


২৫ নভেম্বর ২০১৮ ১৩:০৭

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এক ইঞ্চি জমিও অনুৎপাদনশীল রাখা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ৪৭তম জাতীয় সমবায় দিবসের উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

শুরুতেই পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে সমবায় দর্শনটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুই ধারণ করেছিলেন। তাই সংবিধানের ১৩ অনুচ্ছেদে ব্যক্তি-মালিকানার পাশাপাশি সমবায়ের কথাও উল্লেখ রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সময়েই বিভিন্ন মৎস্যজীবী সমিতি, তাঁতি সমিতি, শিল্প সমিতির কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, পরিত্যক্ত জমি কাজে লাগাতে ও গ্রামীণ জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তার সরকার ‘একটি বাড়ি একটি, খামার প্রকল্প’ শুরু করে। এজন্য মূলধন ও অর্থ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে পল্লী উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান ব্যাংক। প্রকল্পটির মাধ্যমে, ৮৭ হাজার গ্রামে গঠন করা হয়েছে ৭৭ হাজার ৩৩টি সমিতি। এর মাধ্যমে ৩৮ হাজারের বেশি পরিবার উপকৃত হচ্ছে।

সময়বায় ভিত্তিক দুগ্ধ খামার মিল্ক ভিটার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিল্ক ভিটা সম্প্রসারণ করে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এছাড়া, ব্যক্তি-মালিকানায় পশু পালন ও দুগ্ধ উৎপাদনে কেউ আগ্রহী হলেও সরকারিভাবে তাদের সাহায্য করা হবে বলেও তিনি জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সমবায় ভিত্তিক প্রকল্প গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া, বিভিন্ন সমবায় ভিত্তিক কাজে নারীদের সম্পৃক্ততা আরও জরুরি। যাতে তারা তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটাতে পারে।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে বলেন, বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট, ডিজিটাল সেবা, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সবক্ষেত্রে তার সরকার উন্নয়নমূলক কাজ করেছে। এছাড়া, উন্নয়নের চাকা সচল রাখতে দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে।

দেশের সকল সমবায়ীদের ভূমিকায় জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ ৩য় স্থানে, তরু-তরকারিতে ৪র্থ ও আলু উৎপাদনে বিশ্বে ৮ম স্থানে রয়েছে। এসব প্রক্রিয়াজাত করে বাজারজাত করা অথবা বিদেশেও রপ্তানি করা যাবে।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশে কোন দারিদ্র থাকবে না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর আগেই, দেশে আরও ৪ থেকে ৫ ভাগ দরিদ্র কমানোর কথা উল্লেখ করেন তিনি। সমবায়ের মাধ্যমেই এই লক্ষ্য খুব দ্রুত বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

অন্যান্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী  ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশে বর্তমানে সমবায় সংগঠনগুলোর মাধ্যমে প্রায় ৯ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর চেষ্টায় ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ আত্মমর্যাদাশীল উন্নত রাষ্ট্র পরিণত হবে। এজন্য তিনি সমবায়ীদের সাহায্য প্রত্যাশা করেন।

অনুষ্ঠানে সমবায়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ১০ টি ক্যাটাগরিতে, বিভিন্ন সমবায়ী ও সংগঠনকে জাতীয় সমবায় পুরস্কার ২০১৬ ও ২০১৭ প্রদান করা হয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ এনএইচ

শেখ হাসিনা সমবায় দিবস

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ভারত থেকে ফিরলেন ৯ বাংলাদেশি তরুণী
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:২৩

আজ জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেবেন ড. ইউনূস
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:০৪

সবজি-মুরগির বাজার চড়া, অধরা ইলিশ
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:১০

সম্পর্কিত খবর