Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সিইসির পদত্যাগ, নইলে আইনি ব্যবস্থা: ড. কামাল


২৫ নভেম্বর ২০১৮ ১৫:৪০

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা:  প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ মন্তব্য করে তার পদত্যাগ দাবি করেছেন গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে রোববার (২৫ নভেম্বর) ড. কামাল হোসেন এ দাবি করেন। এদিন আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রয়াত শাহ এম এস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া, সাবেক জেনারেল (অব.) আনসা আমিন এবং একুশে টেলিভিশনের সাবেক মালিক আবদুস সালাম গণফোরামে যোগ দেন। এদিন এ কে খন্দকারের আসার কথা থাকলেও তিনি আসেননি।

ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন গণফোরামের সভাপতি। তিনি বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভূমিকা নিরপেক্ষ হচ্ছে না। তাই তার জায়গায় অন্য কাউকে নিয়োগ দেওয়া হোক। আর তা না হলে আমরা আইনি পদক্ষেপ নেব।’

ড. কামাল বলেন, ‘যারা আদিষ্ট হয়ে কাজ করে তারা সংবিধান লঙ্ঘন করছে। এদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’

গণফোরাম সভাপতি বলেন, ‘অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব। এ জন্য চারদিকে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকবে। রাষ্ট্রের মালিক ভেবে জনগণকে ব্যবস্থা নিতে হবে। যদিও সরকার নানা অগণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করে রেখেছে। বিনা কারণে, বিনা অপরাধে গ্রেফতার, অন্তরীণ চলছে।’

ড. কামাল বলেন, ‘আমরা সুশাসন চাই, গণতন্ত্র চাই। সুষ্ঠুভাবে জনগণ যাতে ভোট দিতে পারে সেই পদক্ষেপ সরকারকে নিতে হবে। পুলিশ এক্ষেত্রে সুন্দর ভূমিকা পালন করতে পারে। তারা যদি নিজেদের সরকারের বাহিনী না ভেবে রাষ্ট্রের বাহিনী মনে করে তাহলেই তা সম্ভব।’

তিনি আরও বলেন, ‘এতদিন যা হয়েছে আমরা তা মেনে নিয়েছি। এখন থেকে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের জন্য যা যা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার সরকারকে নিতে হবে। তা না হলে আমরা কঠিন পদক্ষেপ নেব।’

বিজ্ঞাপন

নির্বাচন কি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী হবে নাকি রাজনৈতিক কোনো জটিলতায় নির্বাচন থমকে যাবে? এমন এক প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন জোর দিয়ে বলেন, ‘ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ইনশা আল্লাহ।’

অনুষ্ঠানে ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘দেশের ক্রান্তিকাল লগ্নে আমি ড. কামাল হোসেন সাহেবের গণফোরামে যোগদান করেছি। রাজনীতিতে নোংরামি চলছে, এই নোংরামি দূর করে সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে থাকব। স্বাধীন দেশে কালো আইন দিয়ে যে ভাবে শাসন চলছে তা স্বাধীনতা আদর্শের বিরোধী।’

তিনি বলেন, ‘আমি আমার বাবা মরহুম শাহ এম এস কিবরিয়া সাহেবের আসনে অনেক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম করেছি। ঘরে ঘরে গণসংযোগ করেছি।’

তিনি বলেন, ‘প্রশ্ন জাগতে পারে আমি কেন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছি। ধানের শীষ প্রতীকটি কিন্তু মওলানা ভাষানীর।’

মেজর জেনারেল (অব.) আনসা আমিন বলেন, ‘আমি নৌকার লোক। নৌকা নিয়ে নির্বাচন করে হেরেছি। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার কারণ ছিল আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল।’

তিনি বলেন, ‘দেশে হিংসা-বিদ্বেষের রাজনীতি চলছে। সে জন্য শক্তভাবে রাজনীতিতে নেমেছি হিংসা-বিদ্বেষ পরিহার করে দেশে সুষ্ঠুধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে।’

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গণফোরামের কো- চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, ‘গণভবন, মন্ত্রীদের বাসভবন, সরকারি অফিস, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা হচ্ছে যা আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এরপরও নির্বাচন কমিশন নীরব ভূমিকা পালন করছে।’

এ ছাড়া সরকারি দলের প্রার্থীরা এবং মন্ত্রীরা দাপটের সাথে নির্বাচনী প্রচার ও ভোটারদের কাছে তাদের বক্তব্য তুলে ধরছে, আইন শৃঙ্খলাবাহিনী ও প্রশাসন তাদের প্রটোকলসহ সার্বিক সহযোগিতা করছে। অন্যদিকে বিরোধী দলের প্রার্থীদের যারযার নির্বচনী এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে এমনকি প্রার্থীদের এলাকায় নিজ বাড়িতে কর্মীদের সাথে ঘরোয়া বৈঠক ও মত বিনিময়ের ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করছে, সভার উপরে বিধি-নিষেধ দিচ্ছে এবং নেতাকর্মীদের জনসভা থেকে গ্রেফতার করা হচ্ছে বলেন ড. কামাল।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে

জাতীয়-নির্বাচন ড. কামাল নির্বাচন কমিশন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর