।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: যাতায়াতের কাজে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় যাওয়ার জন্য যানবাহনের প্রয়োজন হয় প্রত্যেকেরই। সেই বাহনে তারা বসে থাকেন, নিজেদের মধ্যে কথা বলেন এবং অনেক সময় কথা শুনেনও। এই যাতায়াতের সময় ও লোক সমাগমের সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে প্রান্তিক মানুষের কাছে ই-লার্নিং এর আওতায় শুরু হচ্ছে, ‘জ্ঞানবাহন’।
যার মাধ্যেমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে খুব সহজে। আধুনিক প্রগতিশীল শিক্ষার সঙ্গে পরিচিত করাবে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে। এর অর্থায়ন করবে গ্রামের বৃত্তবান লোকেরা।
রোববার (২৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ই-লার্নিং ভায়া ই-ভ্যান (ইভ) ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জ্ঞানবাহন প্রকল্প বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রকল্পটি সম্পর্কে ধারণা দেন, ইভ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. বদরুল হুদা খান এবং ইভ ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা।
জ্ঞানবাহনের উদ্ভাবক বিশ্বখ্যাত ই-লার্নিং বিশেষজ্ঞ ড. বদরুল হুদা খান জানান, জ্ঞানবাহন মূলত একটি লেগুনা যান, যেটা চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে চলাচল করবে। এই যানে উচ্চ গতি সম্পন্ন ওয়াইফাই ও একটি এলসিডি টিভি যুক্ত করা হয়েছে। যানে চলাচল করার মাধ্যমে ওই এলাকার মানুষরা আধুনিক শিক্ষা সহজেই নিতে পারবেন।
ড. বদরুল আরও জানান, জ্ঞানযান সপ্তাহে দুইদিন ওই এলাকায় যেসব জায়গায় লোকসমাগম হয় সেখানে জ্ঞান আড্ডার ব্যবস্থা করবে। যার ফলে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আধুনিক জ্ঞান গ্রহণ করতে সক্ষম হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস ও জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির সাবেক এ অধ্যাপক বলেন, ‘জ্ঞানবাহন সোলারে চলবে তাই এটি পরিবেশবান্ধব, সাশ্রয়ী বাহন।’ তিনি আশা করেন এভাবে চলা-ফেরার পথে পাওয়া শিক্ষা মানুষ জীবনব্যাপী গ্রহণ করতে পারবে। এই বাহনের মাধ্যমে শুধু যে প্রান্তিক মানুষ আধুনিক শিক্ষা পাবে তাই নয়, প্রান্তিক মানুষের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি, জ্ঞান অন্যদের বিতরণের সুযোগ হবে।
সম্পূর্ণ ব্যাক্তিগত উদ্যোগে তৈরি হওয়া এই জ্ঞানবাহন ধারণার পরীক্ষামূলক প্রকল্প চালানো হয়েছে ভারতের হাওড়া ও বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জে। উদ্যোক্তারা আশা করছেন এই প্রকল্প থেকে যে অর্থ আসবে তা দিয়ে প্রকল্পটি ধীরে ধীরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় জ্ঞানবাহন প্রকল্প শুরু করা যাবে।
এছাড়াও কেউ যদি নিজ উদ্যোগে নিজ এলাকায় এই জ্ঞানবাহন শুরু করতে চান তবে ফেসবুকে ‘EvE Foundation’ এর পেইজে যোগাযোগ করা যাবে বলেও জানান উদ্যোক্তারা।
সারাবাংলা/এমএ/এএস/এমও