Wednesday 11 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গায়েবি মামলার রিট খারিজ


২৫ নভেম্বর ২০১৮ ১৬:৫১

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ‘গায়েবি’ মামলার তদন্ত বন্ধ, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পরবর্তীতে এ ধরনের মামলা না দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রোববার (২৫ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. মাসুদ রানা। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ‘গায়েবি’ মামলার তদন্ত বন্ধ, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পরবর্তীতে এ ধরনের মামলা না দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দেন হাইকোর্টের অন্য একটি বেঞ্চ। যার ফলে নিয়ম অনুসারে মামলাটি প্রধান বিচারপতির কাছে যায়।

পরে প্রধান বিচারপতি মামলাটির শুনানির জন্য নতুন বেঞ্চ গঠন করে দেন। গত ৯ অক্টোবর বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দেন।

মামলাটির উভয়পক্ষের শুনানি শেষে পৃথক পৃথক আদেশ দেন হাইকোর্ট। দ্বৈত বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী তার আদেশে- ‘গায়েবি’ মামলা হিসেবে অভিযোগকারীসহ অন্যান্য ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে করা মামলা কেন বে-আইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। একইসঙ্গে ঢাকায় দায়ের হওয়া মামলাগুলো তদন্ত করে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলে পুলিশের মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দেন। পাশাপাশি মামলার পরবর্তি তারিখ ১৭ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেন।

এরপর আদালতের কনিষ্ঠ বিচারপতি আশরাফুল কামাল তার আদেশে বলেন, ‘রিটটি সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুসারে গ্রহণযোগ্য নয়। তাই এ রিটটি আমি প্রত্যাখ্যান (খারিজ) করলাম।’

প্রসঙ্গত, গত ২৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন অ্যাডভোকেট এ কে খান। জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, সানাউল্লাহ্ মিয়ার পক্ষে এই রিট দায়ের করা হয়।

গত ২২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটের আবেদন করা হয়। রিটে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সারাদেশে বিএনপির জ্যেষ্ঠ আইনজীবীসহ বিভিন্ন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে করা ৪ হাজার মামলা এবং তিন লাখেরও বেশি লোককে আসামি করার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছিলো।

সারাবাংলা/এজেডকে/এমও


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর