।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আওয়ামী জোটের কাছ থেকে ৪৫ আসন পাচ্ছে জাতীয় পার্টি। এ সব আসনে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী থাকবেন না।
তবে ৪৫ আসনে সমঝোতা হলেও ছাড় দিতে রাজি নন তৃণমূলের জাতীয় পার্টির নেতা। দীর্ঘদিন বঞ্চিত অন্তত ১০০ নেতা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ওই সব আসনে জাপার বিদ্রোহী প্রার্থীদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাও থাকবেন।
জাতীয় পার্টির মূল নেতৃত্বের কয়েকজন নেতার ইশারায় এই ১০০ আসনে প্রার্থী দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে দলটির দায়িত্বশীল একটি সূত্র।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রটি সারাবাংলাকে জানায়, জাতীয় পার্টির ত্যাগী নেতারা মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এদিকে বঞ্চিত ও ক্ষুব্ধ নেতারা দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বাসা, মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারের বাসভবন ঘুরে বনানীর দলীয় কার্যালয়ে হাজির হচ্ছেন।
সূত্র জানিয়েছে, মনোনয়ন ইস্যুতে জাপার নেতাদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। সবমিলিয়ে গুমোট পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
অন্যদিকে দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং জ্যেষ্ঠ কো চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ অসুস্থ হয়ে পড়ায় এখন হাল কে ধরবেন তা নিয়েও নেতাকর্মীদের ভেতর জল্পনা-কল্পনা চলছে।
দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, পার্টির কো চেয়ারম্যান ও এরশাদের ভাই জি এম কাদেরকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। দুই একদিনের ভেতর এ ঘোষণা আসতে পারে বলে জানা গেছে।
সারাবাংলা/এসএমএন/একে