।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন জানিয়েছেন, বিএনপির সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। বুধবারের মধ্যে আসনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। গণফোরাম থেকে ইতোমধ্যে ১১৩টি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে।
সোমবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন লঞ্চিং গণফোরাম-লিড ‘পাবলিক পলিসি’ ইনিশিয়েটিভ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে গণফোরাম।
আরও পড়ুন- গৃহযুদ্ধের উসকানি দিচ্ছে বিএনপি: কাদের
গত ২২ নভেম্বর রাজধানীর র্যাডিসন ব্লু হোটেলে অ্যাসথেটিক ডারমাটোলজিস্টদের আন্তর্জাতিক সেমিনারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করেন, ‘আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেন্দ্র পাহারার নামে বিএনপি দেশে গৃহযুদ্ধের উসকানি দিচ্ছে। তারা বলছেন, নির্বাচনের দিন প্রতিটি কেন্দ্রে তিনশ থেকে চারশ নেতাকর্মী অবস্থান করবে।’
সেই প্রসঙ্গে টেনে ধরে ড. কামাল পাল্টা প্রশ্ন রাখেন, ভোট কেন্দ্র পাহারা দেওয়া কীভাবে গৃহযুদ্ধের উসকানি দেওয়া হতে পারে?
ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে তিনি বলেন, রাজনীতিতে ভাষার ব্যবহারে আরও সংযত হওয়া দরকার। নেতিবাচক-উসকানিমূলক ভাষা পরিহার করা দরকার।
হবিগঞ্জ-১ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, আমার মনে হয় তাতে অনেক ভুল রয়েছে। ঐক্যফ্রন্টের সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেগুলো শুধরে নেওয়া হবে। সবার জন্য সমতা, কোয়ালিটি অব পাবলিক সার্ভিস, কোয়ালিটি অব পলিটিক্স নিশ্চিত করা হবে। যে শিক্ষার্থী ঢাকায় এবং যে শিক্ষার্থী গ্রামে পড়ালেখা করেন তাদের মধ্যে পার্থক্য আছে। তবে এই পার্থক্য দূর করা সম্ভব। সরকারি কর্মকর্তারা ভুলে যান, জনগণের টাকায় দেশ চলে। গণফোরাম ও ঐক্যফ্রন্টের সরকার এলে এই বৈষম্যগুলো আর থাকবে না। অর্থনৈতিক উন্নয়নে আমাদের নীতিমালাতেই তা নিশ্চিত করা হবে।
তিনি বলেন, আমাদের সময় চাকরি হবে মেধা এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে। ব্যাংকিং খাতে সুশাসন আনা হবে। বাজেট রিফর্ম করা হবে। বাজেট প্রণয়নের প্রক্রিয়ায় রিফর্ম করার সুযোগ রয়েছে।
আমাদের সরকার গতানুগতিক কোনো সরকার হবে না। জনগণ সরাসরি তাদের মতামত জানাতে পারবেন- সেই সুযোগ রাখা হবে। আমাদের স্বপ্ন অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র। ব্যক্তি কেন্দ্রীক গণতন্ত্র চর্চার দিন শেষ।
সারাবাংলা/এমএস/এটি