কিশোর জহিরুল হত্যা মামলায় ৪ জনের ফাঁসি, ৩ জনের যাবজ্জীবন
২৭ নভেম্বর ২০১৮ ১৫:০৬
।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে এক কিশোরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা ও লাশ গুমের দায়ে চারজনের মৃত্যুদণ্ড ও ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে এই আদেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ শহীদুল আলম ঝিনুক।
রায় ঘোষণার সময় মৃতুদণ্ড পাওয়া চার আসামির মধ্যে তিনজন এবং সাজাপ্রাপ্ত তিনজনের মধ্যে দুইজন উপস্থিত ছিলেন।
মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-রাকিবুল, সুলতান, সোহেল ও রফিক এবং যাবজ্জীবন দন্ড পেয়েছেন-রুবেল, সজীব ও আকিবুল। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেয়া হয়েছে শরীফুলকে।
হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই সুলতান ও সজীব পলাতক।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাইরের ধল্লা ইউনিয়নের খাসেরচর গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলামকে টেলিফোন করে তার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় বাস্তা গ্রামের সুলতানের বাড়িতে। জহিরুল রাতে বাড়ি না ফেরায় তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করে বন্ধ পান পরিবারের সদস্যরা। পরের দিন বিষয়টি থানাকে জানালে পুলিশ ওই দিন বিকালে সুলতানের বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় তল্লাশি করে ওই বাড়ি থেকে পুলিশ জহিরুলের মোবাইলের দুটি সিমকার্ড, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র ও মাদকদ্রব্যসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করে।
নিখোঁজের দুই দিন পর ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে সুলতানের বাড়ি সংলগ্ন প্রবাসী আব্দুল কাইয়ুমের বাড়ির বাথরুমের সেপটিক ট্যাংকির ভেতর থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় জহিরুলের গলা ও হাত-পা বিচ্ছিন্ন পাঁচ টুকরা লাশ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় জহিরুলের বাবা শেখ খোকন মিয়া ৮ জনকে বাদী করে সিঙ্গাইর থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলার মূল আসামী সুলতানকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে গত ২০১৭ সালে ৪ জুন মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালতে মোট ২৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
সারাবাংলা/এসএমএন