সামরিক শাসন জারি ইউক্রেইনে
২৭ নভেম্বর ২০১৮ ২০:০৭
।।আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
রাশিয়ার সঙ্গে ক্রিমীয় উপদ্বীপে সংঘর্ষের ঘটনার একদিনের মাথায় সামরিক শাসন জারি করেছে ইউক্রেইন। আগামী ৩০ দিন দেশটিতে সামরিক শাসন জারি থাকবে। খবর আল জাজিরার।
রোববার (২৫ নভেম্বর) কৃষ্ণ সাগর ও আযভ সাগরের মধ্যবর্তী কার্চ প্রণালীতে ইউক্রেইনের তিনটি জাহাজ আটক করেছে রাশিয়া। এর বিরুদ্ধে ইউক্রেইন রুশ দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেছে দেড় শতাধিক বিক্ষোভকারী। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে দূতাবাসের একটি গাড়ি। এমতাবস্থায় পরিস্থিতি শান্ত করতে দেশটির পার্লামেন্ট সামরিক শাসন জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে, রোববারের ঘটনা নিয়ে স্থানীয় সময় সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) জরুরী বৈঠকে বসেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। পরিষদে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি বলেন, আযভ সাগরে রাশিয়া কর্তৃক ইউক্রেইনের জাহাজ আটক করার ঘটনা অঞ্চলটিতে ইউক্রেইনের সার্বভৌমত্বের ভয়ানক লঙ্ঘন।
হ্যালি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে রাশিয়ার এই দাম্ভিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে নিন্দা জানানোর আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, এরকম আইন বহির্ভূত পদক্ষেপের কারণেই ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হচ্ছে না।
ঘটনাটি নিয়ে রাশিয়া জানিয়েছে, ইউক্রেইনের তিনটি জাহাজ রাশিয়ার জলসীমানায় অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল। এরপরই সেগুলোকে আটক করা হয়।
জাতিসংঘের নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা কখনোই প্রথম পদক্ষেপটি নেইনি। কিন্তু আমাদের নিজেদের প্রতিরক্ষা করার সামর্থ্য রয়েছে। ক্রিমিয়ার জনগণ ও রাশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলের জনগণ নির্ভর সুরক্ষার আওতায় রয়েছে।
এদিকে ইউক্রেইন জানিয়েছে, তাদের জাহাজগুলো কোন অবৈধ কাজ করেনি। জাহাজ আটকের ক্ষেত্রে তারা রুশ সামরিক বাহিনীর আগ্রাসনকে দায়ী করেছে।
জাতিসংঘের নিযুক্ত ইউক্রেইনের রাষ্ট্রদূত ভোলোদাইমেইর ইয়েলচেনকো বলেন, ইউক্রেনের জাহাজগুলো রাশিয়ার জলসীমানায় প্রবেশ করেনি। এটা একটা পুরোদস্তুর মিথ্যা।
তিনি আরও বলেন, মস্কোর সঙ্গে বর্ধমান উত্তেজনা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
সারাবাংলা/ আরএ