Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রামে মনোনয়ন পত্র দাখিলে উৎসবের আমেজ


২৮ নভেম্বর ২০১৮ ১৪:১৪

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

চট্টগ্রাম ব্যুরো: আনন্দমুখর পরিবেশে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে মনোনয়ন পত্র জমা দিচ্ছেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের সঙ্গে নেতাকর্মীদের বিপুল উপস্থিতি থাকলেও বিএনপির প্রার্থীদের সঙ্গে কম উপস্থিতি দেখা গেছে।

আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের সঙ্গে দেখা যায়নি মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য পার্টির নেতাদের। একইভাবে বিএনপির প্রার্থীদের সঙ্গেও দেখা যায়নি ঐক্যফ্রন্টের কোনো নেতাকে।

বুধবার (২৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে আনুমানিক ৩০ জন নেতাকর্মী নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে আসেন চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাহাড়তলী) আসনে মনোনয়ন পাওয়া বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান। এসময় পাঁচজনের বেশি লোক সঙ্গে না নিতে অনুরোধ করায় পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ান নোমান। তিনি একপর্যায়ে বলেন, ‘আমিই চলে যাই তাহলে।’

নোমানের সঙ্গে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি বদরুল আনোয়ার চৌধুরী, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এম নাজিম উদ্দিন, ছেলে সাঈদ আল নোমান ছিলেন। তবে নগর বিএনপির সিনিয়র নেতাদের কাউকে তার সঙ্গে দেখা যায়নি।

মনোনয়ন পত্র জমাদান শেষে নোমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন এখনও সরকারের পদলেহী আচরণ করছে। নির্বাচন কমিশনকে আহ্বান জানাব, তারা যেন দলীয় স্বার্থের উর্দ্ধে উঠে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন দেয়।’

বিজ্ঞাপন

নোমানের পর চট্টগ্রাম -৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে মনোনয়ন পত্র জমা দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এম মোরশেদ খান।

এরপর একযোগে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে আসেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের পাঁচ প্রার্থী।

এরা হলেন, চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে জাসদ একাংশের নেতা মঈনউদ্দিন খান বাদল, চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনের ডা.আফসারুল আমিন ও চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনের এম এ লতিফ এবং চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড ও কাট্টলী) আসনে দিদারুল আলম।

পাঁচ প্রার্থীর সঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনসহ কয়েক’শ নেতাকর্মী ছিলেন।

প্রার্থীদের সঙ্গে নেতাকর্মীরা সবাই বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ বাঁধা দেয়। তখন হট্টগোলের সৃষ্টি হয়।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মো.আব্দুর রউফ সারাবাংলাকে বলেন, পাঁচজন প্রার্থী একসঙ্গে আসায় নেতাকর্মীদের ভিড় হয়েছে। তবে নিয়ম মেনেই তারা জমা দিয়েছেন।

মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পর নওফেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করায় আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমার আসনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আমি নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ইভিএম নিয়ে মানুষের মধ্যে কোন বিভ্রান্তি নেই। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এটা গ্রহণ করেছে।’

বিজ্ঞাপন

মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পর বাদল সাংবাদিকদের বলেন, ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড অবশ্যই তৈরি হয়েছে। আমরা যারা এমপি আছি, কোন উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করছি না। সরকারি কোনো কর্মসূচিতে যাচ্ছি না। বিরোধী দলগুলো যেসব অভিযোগ করছে এর কোন ভিত্তি নেই।’

মঈনউদ্দিন খান বাদল জাসদ একাংশের নাকি স্বতন্ত্র প্রার্থী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি নৌকার প্রার্থী।’

এর আগে পাঁচ প্রার্থী নগরীর পল্টন রোডে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিনের বাসায় যান। সেখানে মেয়র আ জ ম নাছির প্রার্থীদের সবাইকে মিষ্টিমুখ করান। পরে নেতাকর্মীরাসহ একযোগে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যান।

এদিকে রিটার্নিং অফিসার ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে মনোনয়ন পত্র জমা দেন চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মিতা ও বিএনপির মোস্তফা কামাল পাশা।

চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে বড় দলগুলোর অনেক প্রার্থী নিজ নিজ এলাকায় মনোনয়ন পত্র জমা দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

সারাবাংলা/আরডি/এসএমএন

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চট্টগ্রাম মনোনয়ন পত্র জমা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর