নির্বাচনি ইশতেহারে পরিবেশ বিষয় অন্তর্ভুক্তি দাবি
২৮ নভেম্বর ২০১৮ ১৫:৪১
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনি ইশতেহারে জলবায়ু মোকাবিলার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করার আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্লাইমেট অ্যাকশন ফোরাম।
বুধবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে দি ডেইলি স্টার সেন্টার আজিজুর রহমান কনফারেন্স হলে বাংলাদেশ ক্লাইমেট অ্যাকশন ফোরাম আয়োজিত ‘নির্বাচনি ইশতেহারে জলবায়ু পরিবর্তন প্রেক্ষিত ও বাস্তবতা’ আলোচনা সভায় বক্তারা এ দাবি জানায়। এ সময় ৪২টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে ৯ দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশ ক্লাইমেট অ্যাকশন ফোরামের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ১৯৯৬ সালে পরিবেশ প্রসঙ্গটি রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করে। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি তাদের ইশতেহারে পরিবেশ প্রসঙ্গ স্থান পায়। তবে, ২০০৮ সালের নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো পরিবেশ প্রসঙ্গে আরও বেশি আগ্রহী হয়ে ওঠে।
আগামী নির্বাচনি ইশতেহারে ৯ দফার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হিসেবে বলা হয়, জলবায়ুর অর্থায়নে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও কার্যকারিতা বাড়াতে অবিলম্বে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট আইন- ২০১০ কে সংশোধন করে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি জলবায়ু কমিশন গঠন করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি গঠনকালে কমপক্ষে ২৫ শতাংশ আসন এনজিও ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগের হাত থেকে সর্বাধিক বিপন্ন মানুষদের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় সামাজিক সুরক্ষা বেষ্টনি’ গড়ে তোলার মাধ্যমে বাস্তুচ্যূতদের পূর্নবাসনের উদ্যোগ নিতে হবে। জলবায়ু অর্থায়নে উন্নয়ন বাজেটের কমপক্ষে ২৫ শতাংশ বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে জলবায়ু বিপন্ন এলাকাসমূহকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। জলবায়ুর অর্থায়ন ও তার ব্যবহারে সকল পর্যায়ে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, অংশগ্রহণ ও শুদ্ধাচার নিশ্চিত করতে হবে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশকে অর্থায়নে অঙ্গীকারাবদ্ধ উন্নত দেশসমূহের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও শুদ্ধাচার নিশ্চিতে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সক্রিয় রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও দাবি বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করতে হবে।
সারাবাংলা/এমএমএইচ/জেএএম