Monday 21 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

খালাস পেলেও ৫ বছর অপেক্ষা কেন, ব্যাখ্যা দিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল


২৮ নভেম্বর ২০১৮ ১৬:১৯

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নির্বাচনে অংশ নিতে হলে মুক্তি পাওয়ার পরও কেন পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে, তা ব্যাখ্যা করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, ‘নৈতিক স্খলনজনিত কারণে অন্যূন যদি দুই বছর কারও বিরুদ্ধে সাজা হয় তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না- এটা সোজা কথা। তিনি যদি মুক্তিলাভ করেন- তারপরও। মুক্তি লাভের পরও তাকে পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে পরবর্তী নির্বাচনের জন্য।’

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে অ্যাটর্নি জেনারেল তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার নির্বাচন নিয়ে যা বললেন অ্যাটর্নি জেনারেল

তিনি বলেন, এই পাঁচ বছর গণনা শুরু হবে, যেদিন তার সাজা বাতিল হয়ে গেল, সেদিন থেকে। সেটা যে আদালত থেকেই হোক না কেন। আপিল বিভাগ থেকে সাজা বাতিল হতে পারে, আবার তিনি কারা ভোগ করেও মুক্তি পেতে পারেন।

মাহবুবে আলম বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) হাইকোর্ট বিভাগে পাঁচটি দরখাস্ত জমা দেওয়া হয়েছিল। আমান উল্লাহ আমান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ওয়াদুদ ভুইয়া, মশিউর রহমান ও আবদুল ওহাব বলেন, তারা দণ্ডপ্রাপ্ত কিন্তু তারা নির্বাচন করতে চান। এ জন্য তাদের দণ্ড এবং সাজা যাতে স্থগিত করা হয়। সেখানে আমি এই বক্তব্য দিয়েছিলাম যে আমাদের শাসনতন্ত্রের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নৈতিক স্খলনজনিত কারণে যদি কোনো ব্যক্তি দুই বছর বা তার অধিক সময়ের জন্য দণ্ডপ্রাপ্ত হন- সে ক্ষেত্রে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না। যদি তিনি ইতোমধ্যে খালাস বা মুক্তি পান। মুক্তি লাভের পরও তাকে ৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে। হাইকোর্ট বিভাগ তাদের দরখাস্ত খারিজ করেছিলেন।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: ‘চূড়ান্ত আপিলে খালাস না পেলে নির্বাচনের সুযোগ নেই খালেদা জিয়ার’

এরপর এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে দরখাস্ত করেন। সকলপক্ষকে শুনে আপিল বিভাগ কোনো আদেশ দেননি। ফলে হাইকোর্ট বিভাগের আদেশটি আপিলে বহাল আছে, বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া খালাস পেয়েছেন, তাকেও পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে। খালেদা জিয়ার জন্য এই বিধান নতুন করে সংযোজন করা হয়নি।

আরও পড়ুন: ‘অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্যে দেশবাসী স্তম্ভিত’

বাংলাদেশের ব্যাংকের সিআইবি রিপোর্টে নাম থাকলে ঋণখেলাপিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। বেশ কয়েকজন ব্যক্তি সিআইবি রিপোর্টের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ চেয়ে আপিল বিভাগে মামলা করেছিল। আপিল বিভাগ তাদের পক্ষে কোনো স্থগিতাদেশ দেননি।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাহবুবে আলম বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে সংবিধানে যেটা লেখা আছে আদালতকে সেটা জানানো আমার দায়িত্ব। সংবিধান হলো রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। সাংবিধানিক বিধানগুলো আদালতকে জানানো আমার নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য।

সারাবাংলা/এজেডকে/এটি

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর