।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
বুধবার (২৮ নভেম্বর) গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে নিজের মনোনয়ন ফরম জমা দিতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।
সুব্রত বলেন, ‘ড. কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্যফন্টের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ফ্রন্ট তিনি পরিচালনা করছেন। তিনি আগেও বলেছিলেন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ঐক্য করেননি। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য জাতির স্বার্থে তিনি এই ঐক্যে শরিক হয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দলের পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। তবে জোটের বিষয়টা চূড়ান্ত হয়নি। কাল থেকে আমাদের চূড়ান্ত করার কাজ শুরু হবে। জোটের পক্ষ থেকে পরে আমাদের মনোনয়ন চূড়ান্ত হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে সুব্রত বলেন, ‘দেশে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে এখনও আমরা মনে করি না। তবে নির্বাচন থেকে আমরা সরে দাঁড়াব না।’
বিএনপিসহ কয়েকটি নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত দল নিয়ে গত ১৩ অক্টোবর ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে সাত দফা দাবিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়। সংসদ ভেঙে, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি ছিল তাদের ওই সাত দফার অন্যতম।
এসব দাবি নিয়ে ১ নভেম্বর প্রথম দফায় এবং ৯ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপে অংশ নেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। ঐক্যফ্রন্টের সব জনসভায় ড. কামাল হোসেনকে করা হয় প্রধান অতিথি।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বড় দল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় সাজা নিয়ে কারাগারে আছেন। দণ্ডিত হওয়ায় তার নির্বাচনে অংশ নেওয়া অনেকটাই অনিশ্চিত। আর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গত এক দশক ধরে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন লন্ডনে। দুর্নীতির দুই মামলায় তার ১৭ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে, ২১ অগাস্ট গ্রেনেড মামলায় হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
এই অবস্থায় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন— বিভিন্ন মহল থেকে এ প্রশ্ন উঠেছে বারবার। তদুপরি আওয়ামী লীগ নেতাদের সমালোচনার মুখে গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন বলেছেন, ‘নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া কিংবা রাষ্ট্রীয় কোনো পদ পাওয়ার ইচ্ছা আমার নেই।’
সারাবাংলা/এজেড/এটি