পাকিস্তান হাইকমিশনে চুরির মামলায় রিমান্ডে ৬
২৮ নভেম্বর ২০১৮ ১৯:১২
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: রাজধানীর গুলশানে পাকিস্তান হাইকমিশনের এসি, কম্পিউটারের সিপিইউ ও ইউপিএস চুরির ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া ছয় জনকে দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (২৮ নভেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দেব্রবত বিশ্বাস এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন, সজল ওরফে কালু (২২), মোস্তফা (৩৫), দুলাল মিয়া (৩৪), জাহাঙ্গীর আলম (৪৫), নিমাই বাবু (৪২) ও সেকুল ইসলাম (৩৫)।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম আসামিদের আদালতে হাজির করে চুরি যাওয়া অবশিষ্ট মালামাল উদ্ধারের লক্ষ্যে প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
তবে দুলাল, সেকুল ও নিমাই বাবুর পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন আবেদন করেন। কিন্তু অপর তিন আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে প্রত্যেককে দুইদিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গুলশান থানায় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমেদ বলেন, গুলশান এলাকায় বোতল কুড়ান কালু (২২)। ওই এলাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের পেছনের দেয়াল ঘেঁষা এলাকায় নিয়মিত যাতায়াত ছিল তার।
হাইকমিশনের পেছনে যাওয়ার পর দেখতে পান দেয়ালের কিছু অংশ ভাঙা। ওই অংশ দিয়ে ভেতরে একটি এসি দেখতে পান তিনি। এসি চুরি করার সময় হাইকমিশনের ভবনের ভিতরে ঢোকার সুযোগ পায় তারা। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভবনের ভেতরে ঢুকে তিনটি সিপিইউ ও চারটি ইউপিএস চুরি করেন।
ঐই ঘটনায় গত ২৫ নভেম্বর রাজধানী গুলশান থানায় অভিযোগ করে পাকিস্তান হাইকমিশন কর্তৃপক্ষ। এর ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চুরির মূল হোতা কালুসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
আসামিদের তথ্যমতে তিনটি সিপিইউ, দুটি ইউপিএস, একটি কম্পিউটার মনিটর ও চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি ভ্যানগাড়ি উদ্ধার করা হয়।
সারাবাংলা/এআই/এমআই