নারীর প্রতি সহিংসতা: জনগণ ও সরকারের ব্যবধান চিহ্নিত করার আহ্বান
২৮ নভেম্বর ২০১৮ ২৩:০৩
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে ১৬ দিনব্যাপী প্রচার কর্মসূচির সঙ্গে সংগতি রেখে বিভিন্ন সরকারি নীতিমালায় বিদ্যমান জনগণ ও সরকারের মধ্যকার যে ব্যবধান রয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আজ বুধবার (২৮ নভেম্বর) নেদারল্যান্ডস দূতাবাসে অনুষ্ঠিত ‘যৌন হয়রানি বিষয়ক কমিউনিটি অব প্র্যাকটিস মিটিং’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। শেয়ার-নেট বাংলাদেশ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে শেয়ার-নেট বাংলাদেশের ২৪টি সদস্য প্রতিষ্ঠান; যারা যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার (এসআরএইচআর) নিয়ে কাজ করে।
সেশনটি পরিচালনা করেন ‘রেড অরেঞ্জ মিডিয়া ও কমিউনিকেশনস’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অর্ণব চক্রবর্তী।
নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. আবুল হোসেন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় কর্মপরিকল্পনার (এনপিএ) উদ্দেশ্য হলো নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধ, বাল্যবিবাহ নির্মূল এবং সবক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্যমূলক নির্যাতন চিহ্নিত করা।
নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি হ্যান্স অ্যানজেনেন্ট কর্মক্ষেত্রে নারীর বিরুদ্ধে হয়রানি বন্ধে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেওয়া সাম্প্রতিক নীতিগুলো নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘দূতাবাসের সহায়তায় যেসব পার্টনার অর্গানাইজেশন কাজ করে, বর্তমানে ও ভবিষ্যতে তাদেরকে এই নীতিগুলো মেনে চলতে হবে।
দূতাবাসের এসআরএইচআর ও জেন্ডার বিষয়ক ফার্স্ট সেক্রেটারি ড. আনি ভেসজেনস বাংলাদেশের লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতার বর্তমান চিত্র সম্পর্কে আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে ১৬ দিনব্যাপী পরিচালিত এই কর্মসূচিতে, এই বিষয়টি নিয়ে জোর দিয়ে কথা বলার উপযুক্ত সময়।’
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, নারীর বিরুদ্ধে সব ধরনের সহিংসতা বন্ধ, ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারে—নৈতিক পরিবেশ, তথ্যপ্রাপ্তি ও কার্যকর যোগাযোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
সারাবাংলা/জেএ/এমআই