Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘কোনো যুদ্ধাপরাধীকে ধানের শীষ দেওয়া হবে না’


২৯ নভেম্বর ২০১৮ ১২:১৩

।।স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো যুদ্ধাপরাধীকে ধানের শীষ প্রতীক দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন হারানো স্বাধীনতা বিরোধী দল জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এবার বিএনপির দলীয় প্রতীক ধানের শীষে নির্বাচন করবে। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, অন্তত ২০টি আসনে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে জামায়াত।

সবচেয়ে বেশি সংখ্যক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা বিএরনপিতে। সেই দলের প্রতীক ধানের শীষ জামায়াতকে দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টিকে আপনি কীভাবে নিচ্ছেন—একজন সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমি আপনাদেরকে আশ্বস্ত করছি যে, কোনো যুদ্ধাপরাধীকে আমরা ধানের শীষ প্রতীক দেব না।’

‘যদি কেউ যুদ্ধাপরাধ না করে থাকে, তাহলে তাকে প্রতীক দিতে অসুবিধা কোথায়? জামায়াতে তো মুক্তিযোদ্ধাও আছে’— যোগ করেন নজরুল ইসলাম খান।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন ও হাবীব-উন-নবী খান সোহেল দলীয় মনোনয়ন পেলেও রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসে সেটা জমা দেননি। অর্থাৎ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের তিনজন ‘তারকা প্রার্থী’ অংশ নিচ্ছেন না।

বিষয়টি সামনে এনে এর কারণ জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘নির্বাচনে সবাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে না। কেউ কেউ থাকেন—যারা নির্বাচন পরিচালনা, প্রার্থীদেরকে সহযোগিতা করার জন্য দায়িত্ব পালন করেন।’

বিজ্ঞাপন

‘আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া আমাদের মাঝে এখন নাই, উনি জেলখানায় আছেন। আপনারা জানেন, প্রত্যেকটা নির্বাচনে, সব নির্বাচনী এলাকায় উনিই (খালেদা জিয়া) যান প্রার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখার জন্য। উনি আজ আমাদের মাঝে নেই, আমাদের নেতা তারেক রহমানও দেশের বাইরে। এখন তাদের কাজটা আমাদেরকেই করতে হবে’— বলেন নজরুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন,  ‘ আমরা যদি সবাই নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে যাই…. তো কাজেই দলের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা কয়েকজন নির্বাচন করব না; বাকিদের নির্বাচন করে দেব। আপনারা যাদের কথা বলছেন, তারা অত্যন্ত যোগ্য। কাজেই তাদের এই সরে যাওয়ার বিষয়টিকে নির্বাচনী কৌশল বলতে পারেন এবং এ রকম নির্বাচনী কৌশল তো হতেই পারে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর সম্পাদক বেলাল আহমেদসহ অন্যরা।

সারাবাংলা/এজেড/টিআর

নজরুল ইসলাম খান বিএনপি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর