Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে নিবন্ধিত সব দল, স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪৯৮ জন


২৯ নভেম্বর ২০১৮ ২২:৪৮

।। গোলাম সামদানী, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলের সবগুলো দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। এইসব রাজনৈতিক দলের মোট প্রার্থীর সংখ্যা ২ হাজার ৫৬৭ জন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনে ইসির নিবন্ধিত মাত্র ১২টি দল অংশ নিয়েছিল।

এছাড়া নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ৪৯৮ জন।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচনে ইসির নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দল সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে।’

ইসি সূত্র জানায়, আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৩৯টি নিবন্ধিত দলের সবকয়টি দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এসব দলের মধ্যে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ২ হাজার ৫৬৭ জন। এর মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও জাতীয় পার্টি এই প্রধান তিন দলের প্রার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ২১০ জন। বাকি অনান্য নিবন্ধিত দলের প্রার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৩৫৭ জন।

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী ২৮১জন, বিএপির ধানের শীষ প্রতীকে ৬৯৬ জন, জাতীয় পার্টি লাঙ্গল প্রতীকে ২৩৩ জন প্রার্থী নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাকিল করেছে।

অন্যদিকে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি (ছাতা) ১৫ জন, জাতীয় পার্টি-জেপি (বাইসাইকেল)-১৭ জন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল-এমএল (চাকা) ৩ জন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ (গামছা) ৩৭ জন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি (কাস্তে) ৭৭ জন, গণতন্ত্রী পার্টি (কবুতর) ৮ জন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (কুঁড়ে ঘড়) ১৪জন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ (মই)-৪৯জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ (মশাল)-৫৩ জন, গণফোরাম (উদীয়মান সূর্য) ৬১ জন, বিকল্পধারা বাংলাদেশ (কুলা) ৩৭ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (তারা) ৫১ জন প্রার্থী রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (হাতপাখা) ২৯৯ জন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন (বটগাছ) ২৬ জন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (হাতুড়ি) ৩৩ জন, জাকের পার্টি (গোলাপ ফুল) ১০৮ জন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি (গরুর গাড়ি) ১১ জন, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন (ফুলের মালা) ২০ জন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (হারিকেন) ৪৯জন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (আম) ৯০ জন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ (খেঁজুর গাছ) ১৫ জন, গণফ্রন্টের (মাছ) ১৬ জন প্রার্থী।

মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল-পিডিপি (বাঘ) ১৬টি, বাংলাদেশ ন্যাপ (গাভী)-৪ জন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (কাঁঠাল)-১৩ জন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ (চেয়ার) ২৮জন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি (হাতঘড়ি) ৫ জন, ইসলামী ঐক্যজোট (মিনার) ৩২ জন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিম (রিকশা) ১২জন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট (মোমবাতি) ২১জন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা (হুক্কা) ৬জন, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি (কোদাল) ৩০ জন, খেলাফত মজলিশ (দেয়ালঘড়ি) ১২ জন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল (হাতপাঞ্জা) ১৭ জন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (ছড়ি) ১ জন ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ (টেলিভিশন) ৭১ জন প্রার্থী।

উল্লেখ্য, ইসির নির্ধারিত শর্ত পূরণ করায় ২০০৮ সালে ৪২টি রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দেয়া হয়। পাশাপাশি ইসির নিবন্ধন শর্ত ভঙ্গ করায় ২০০৯ সালে ফ্রিডম পার্টির নিবন্ধন বাতিল করা হয়। ২০১৮ সালেরর গত ৪ অক্টোবর কাজী ফারুকের ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন এবং গত ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে ইসি। ফলে বর্তমানে ইসির নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলের সবকয়টি দল এবার সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/এমও

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

২৪ বলে ০ রানে জাকিরের লজ্জার রেকর্ড
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:১৮

সম্পর্কিত খবর