Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রেইনট্রি’তে ধর্ষণ মামলায় জামিন পেলেন সাফাত আহমেদ


৩০ নভেম্বর ২০১৮ ২০:৫৪

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: রাজধানীর বনানীতে রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলায় জামিন পেয়েছেন সাফাত আহমেদ। শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) আসামি পক্ষের আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ হিরু সারাবাংলাকে এই তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজিমুদ্দৌলা শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) জামিনের আদেশ দেন।

কাজী নজিবুল্লাহ হিরু জানান, আসামি সাফাত আহমেদ এক বছরের বেশি সময় কারাগারে রয়েছেন। শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাও নিয়েছেন। এই মামলায় আসামি জামিন পেলে বাদী কিংবা সাক্ষীদের ওপর কোনো প্রকার প্রভাব ফেলবে না।

তিনি আরও জানান, আগামী ১৫ জানুয়ারি পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ঠিক রয়েছে।

এ বছরের ৭ জুন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন আদালতে। ১২ জুন মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় সিএমএম আদালত থেকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ বদলি করা হয়। ১৯ জুন ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। গত ১৩ জুলাই একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

অভিযোগপত্রে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে।

সাফাত আহমেদের বন্ধু এই মামলার আরেক আসামি সাদমান সাকিফ, সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে ওই আইনের ৩০ ধারায় ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে, গত ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা মামলার বাদী এবং তার বান্ধবী ও বন্ধুকে আটকে রাখে। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। বাদী ও তার বান্ধবীকে জোর করে একটি কক্ষে নিয়ে যায় আসামিরা। বাদীকে সাফাত আহমেদ ও তার বান্ধবীকে নাঈম আশরাফ একাধিকবার ধর্ষণ করে। আসামি সাদমান সাকিফকে দুই বছর ধরে চেনেন মামলার বাদী। তার মাধ্যমেই ঘটনার ১০-১৫ দিন আগে সাফাতের সঙ্গে দুই ছাত্রীর পরিচয় হয়। ওই দুই ছাত্রী সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যান। সাফাতের গাড়িচালক ও দেহরক্ষী তাদের বনানীর ২৭ নম্বর রোডে রেইনট্রি হোটেলে নিয়ে যান।

হোটেলে যাওয়ার আগে বাদী ও তার বান্ধবী জানতেন না যে সেখানে পার্টি হবে। তাদের বলা হয়েছিল, এটা একটা বড় অনুষ্ঠান, অনেক লোকজন থাকবে। অনুষ্ঠান হবে হোটেলের ছাদে। সেখানে যাওয়ার পর তারা কোনো ভদ্রলোককে দেখেননি। সেখানে আরও দুই তরুণি ছিল। বাদী ও তার বান্ধবী দেখেন সাফাত ও নাঈম ওই দুই তরুণীকে ছাদ থেকে নিচে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় বাদীর বন্ধু ও আরেক বান্ধবী ছাদে আসেন। পরিবেশ ভালো না লাগায় তারা চলে যেতে চান। এই সময় আসামিরা তাদের গাড়ির চাবি শাহরিয়ারের কাছ থেকে নিয়ে নেন। তাকে খুব মারধর করেন। ধর্ষণ করার সময় সাফাত গাড়িচালককে ভিডিওচিত্র ধারণ করতে বলেন। বাদীকে নাঈম আশরাফ মারধরও করেন।

এরপর বাদী ও তার বান্ধবীর বাসায় রহমত আলীকে পাঠানো হয় তথ্য সংগ্রহের জন্য। তারা এতে ভয় পান। লোকলজ্জার ভয় এবং মানসিক অসুস্থতা কাটিয়ে উঠে পরে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে আলোচনা করে তারা মামলার সিদ্ধান্ত নেন। এ কারণে মামলা দায়ের করতে বিলম্ব হয় বলে আদলতকে জানানো হয়।

সারাবাংলা/এআই/এটি


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর