ইউক্রেইনের প্রতি অবিচল সমর্থনের ঘোষণা জি৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের
১ ডিসেম্বর ২০১৮ ১২:৩৩
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
গত সপ্তাহে কৃষ্ণ সাগর ও আযভ সাগরের মধ্যবর্তী কার্চ প্রণালীতে ইউক্রেইনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার কার্যক্রমের প্রতি তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিশ্বের বৃহৎ সাত অর্থনৈতিক ক্ষমতাসম্পন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। এই সাত দেশ গ্রুপ অফ সেভেন বা জি৭ নামে পরিচিত। শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনোস আরিয়েসে সংগঠনটির বার্ষিক সম্মেলনে তারা এ নিন্দা জানান। খবর আল জাজিরার।
উল্লেখ্য, গত রোববার (২৫ নভেম্বর) কার্চ প্রণালীতে ইউক্রেইনের তিনটি জাহাজ ও জাহাজের ২৪ কর্মীকে আটক করেছে রাশিয়া। এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক নিন্দার শিকার হয়েছে রাশিয়া। শুক্রবার জি-৭ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ইউক্রেইনের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমতার প্রতি অবিচল সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে জি৭- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) উচ্চ প্রতিনিধিরা শুক্রবার বলেন, ইউক্রেনীয় জাহাজ ও নৌ-বাহিনীর কর্মীদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক শক্তি প্রয়োগের ঘটনায় তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ নেই।
বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, আমরা আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি সম্মান বজায় রাখতে ও এই ঘটনার আর কোন অগ্রগতি না ঘটানোর আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা রাশিয়াকে আটক করা জাহাজ ও কর্মীদের মুক্ত করে দেওয়ার এবং কার্চ প্রণালীর বৈধ রাস্তায় বাঁধা সৃষ্টি না করতে আহ্বান জানাচ্ছি।
সংগঠনটি বলেছে, আমরা, জি৭, আবারো বলছি যে, আমরা রাশিয়ার ক্রিমিয় উপদ্বীপ অধিগ্রহণ মেনে নেইনি ও নেবো না। আমরা ইউক্রেইনের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডীয় অখণ্ডতার প্রতি অবিচল সমর্থনের কথা আবারো নিশ্চিত করছি।
রুশ নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
এদিকে, রোববারের ঘটনার প্রেক্ষিতে ১৬ থেকে ৬০ বছরের রুশ অধিবাসীদের ইউক্রেইনে প্রবেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটি। শুক্রবার এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ইউক্রেইনের সীমান্ত সেবা বিষয়ক মুখপাত্র অ্যান্ড্রি ডেমচেনকো বলেন, এটা কোন কঠোর নিষেধাজ্ঞা নয়।
তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞার ফলে রুশ নাগরিকরা এখন থেকে সীমান্তে অতিরিক্ত একটি জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে দিয়ে যাবে। এছাড়া ইউক্রেইনে তাদের পূর্ববর্তী ভ্রমণের ইতিহাস ঘেঁটে দেখা হবে। এরপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তাদের প্রবেশাধিকার কেড়ে নেওয়া হবে কিনা।
তিনি আরও বলেন, কূটনৈতিক, পরিবহন কর্মী, ইউক্রেইনে অস্থায়ী বা স্থায়ী আবাস রয়েছে এমন মানুষ ও মানবাধিকার সাহায্য নিয়ে আসা ব্যক্তিদের এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে নাও হতে পারে।
সারাবাংলা/ আরএ