৫৮ এইডস আক্রান্ত মা জন্ম দিয়েছেন ‘সুস্থ’ সন্তান
১ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৭:১৫
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: ২০১৩ সালের আগ পর্যন্ত সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ছিল না এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত গর্ভবতী মায়েদের চিকিৎসার ব্যবস্থা। প্রথমবারের মতো ২০১৩ সাল থেকে দেশে সরকারিভাবে এইচআইভি আক্রান্ত গর্ভবতী মায়েদের সেবা দিয়ে আসছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস অ্যান্ড গাইনি বিভাগে। এই সেবার অধীনে এখন পর্যন্ত ৫৮ জন এইডস আক্রান্ত মা সুস্থ সন্তান প্রসব করেছেন, বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।
আজ শনিবার (১ ডিসেম্বর) বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এরপর একটি সচেতনতামূলক র্যালিতে অংশগ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-চিকিৎসকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, দেশে প্রথম ১৯৮৯ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগে প্রথম এইচআইভি শনাক্ত করা হয় এবং তা অব্যাহত রয়েছে। দেশ নতুন ৫৮টি সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এইচআইভিতে আক্রান্ত সকল রোগীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় সেবার পরিধি বাড়িয়েছে, যা স্ট্রেনদেনিং অব এইচআইভি সার্ভিসেস নামে গত বছরে শুরু হয়েছে। জাতীয় এইডস এবং এসটিডি প্রোগ্রাম ও ইউনিসেফের সহযোগিতায় পরিচালিত হচ্ছে স্ট্রেনদেনিং অব এইচআইভি। শুরু থেকে চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৪৬ জন রোগী এআরভি (অ্যান্টি রেট্রোভাইরাল) নিয়েছেন বলেও জানানো হয়।
এইচআইভি পরীক্ষা লজ্জার কিছু নয় জানিয়ে অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘সব ক্ষেত্রেই প্রতিরোধের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে এবং প্রতিরোধের জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে অবস্থানরত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মাঝে এইআইভি এইডস বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
এ ছাড়া সমাবেশে জানানো হয়, সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বিনামূল্যে এআরভি প্রদান ও সকল রোগের যথাযথ চিকিৎসা সেবার পথ উন্মুক্ত হয়েছে আর এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী এআরভি নিচ্ছেন।
সারাবাংলা/জেএ/এমআই