তিন আসনেই খালেদার মনোনয়ন বাতিল
২ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৫:১৮
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। দুর্নীতি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা যাচাই-বাছাই শেষে এই মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন।
রোববার (২ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় ফেনীর রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। এছাড়া বগুড়ার রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়েজ আহমেদ বগুড়ার দুই আসনে খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
আরও পড়ুন: ফেনী-১ আসনে খালেদা জিয়াসহ ১৩ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
তবে আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে যদি তিনি নির্বাচনে দাঁড়াতে না পারেন সেক্ষেত্রে এই আসনে লড়বেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। এ আসনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও জামানতের টাকা জমা দিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
উচ্চ আদালতের একটি রায়ের কারণে খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়ার আসনেই মনোনয়ন পত্র কিনে রেখেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরও পড়ুন: সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না: আপিল বিভাগ
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে খালেদা জিয়া কারাগারে রয়েছেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ৫ বছরের সাজা পাওয়ার পর ওই দিনই কারাগারে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। পরে আপিলের পর গত ৩০ অক্টোবর উচ্চ আদালত তাকে এ মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন। এর আগের দিন (২৯ অক্টোবর) জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৫ খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন।
১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমানের মৃত্যু হলে পরের বছর খালেদা জিয়া রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯৮৪ সালের ১০ মে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিএনপির চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন তিনি।
১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন খালেদা জিয়া। ওই নির্বাচনে পাঁচটি আসন থেকে জয়লাভ করেন তিনি। ওই সংসদে বিএনপি সরকার গঠন করলে প্রধানমন্ত্রী হন খালেদা জিয়া।
১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারির একতরফা নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করলে তিনি ফের প্রধানমন্ত্রী হন। তবে একমাসের মাথায় ওই সংসদ ভেঙে দিতে হয় বিএনপিকে। পরে ওই বছরই সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে সরকার গঠন করলে খালেদা জিয়া বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে ছিলেন সংসদে।
২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফের জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে বিএনপি। এবারও পূর্ণ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন খালেদা জিয়া। পরে ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি পরাজিত হলে বিরোধী দলীয় নেতা ছিলেন তিনি। বিএনপি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করলে আর সংসদে থাকা হয়নি খালেদা জিয়ার।
পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত পাঁচটি নির্বাচনে খালেদা জিয়া মোট ২৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সবগুলোতেই জয়ী হন। এবার একাদশ সংসদ নির্বাচনে তার জন্য রাখা হয় তিনটি আসন।
সারাবাংলা/একে
‘ইউটার্নের সুযোগ’ নিতেই খালেদার জন্য ৩ ফরম!