বাতিল প্রার্থীদের আবেদন ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত
২ ডিসেম্বর ২০১৮ ২০:০৫
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সারাদেশে ৭৮৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। তবে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় মনোনয়নপত্র বাতিল হলেই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ থেমে যাচ্ছে না। যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে, তারা আগামী তিন দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করে প্রতিকার চাইতে পারবেন। শুধু তাই নয়, আবেদনের পরও শুনানি নিয়ে ইসি মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখলে ওই প্রার্থী আদালতেও যেতে পারবেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত আগ্রহীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সুযোগ ছিল নিজ নিজ সংসদীয় আসনের সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে। এরপর আজ রোববার (২ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ছিল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের শেষ দিন। এদিন সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত প্রতিটি আসনে দাখিল হওয়া মনোনয়নপত্রগুলো চূড়ান্তভাবে যাচাই-বাছাই করা হয়। রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রার্থীর যোগ্যতা-অযোগ্যতা বিবেচনা করে আইন অনুযায়ী মনোনয়নপত্র বৈধ বা অবৈধ ঘোষণা করবেন। দিন শেষে জানানো হয়, দেশের ৩০০টি সংসদীয় আসনে ৭৮৬টি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
তবে ইসি সূত্র জানিয়েছে, রিটার্নিং বা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা কারও মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আপিল করতে পারবেন। সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে এ আপিল করতে হবে ইসির কাছে।
ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রার্থিতা নিয়ে সংক্ষুব্ধরা আগামীকাল সোমবার (৩ ডিসেম্বর) থেকে বুধবারের (৫ ডিসেম্বর) ইসিতে অভিযোগ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে সাদা কাগজে আবেদনের করে তথ্য-প্রমাণসহ ইসিতে অভিযোগ দায়ের করতে হবে।
পরে ৬ থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপিলগুলোর শুনানি করে সিদ্ধান্ত দেবে নির্বাচন কমিশন।
এ বিষয়ে ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান সারাবাংলাকে বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর অভিযোগ দাখিল করতে পারবেন। এটা করতে হবে আগামী ৩, ৪ ও ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে। আর কমিশন প্রার্থীদের অভিযোগ আমলে নিয়ে ৬, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর শুনানি করে সিদ্ধান্ত দেবে। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনই আপিল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা পালন করবেন।
এর আগে, ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, মনোনয়নপত্র বাতিলে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত মনপুতঃ না হলে সংক্ষুব্ধরা আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করতে পারবেন। সেখানেও যদি তিনি সন্তুষ্ট না হন, তাহলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আদালতেও যেতে পারবেন।
অর্থাৎ, ৬ থেকে ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ইসিতে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা বৈধ প্রার্থীর স্বীকৃতি না পেলে পরে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সারাদেশের ৩০০ আসনে মোট ৩ হাজার ৬৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে ৭৮৬ জনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে বাতিল হওয়ায় এখন পর্যন্ত বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২৭৯ জন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফিসল অনুযায়ী, ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বাতিল সংক্রান্ত আবেদনের শুনানির পর ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে পারবেন। পরদিন ১০ ডিসেম্বর বৈধ প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেবে কমিশন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ।
সারাবাংলা/জিএস/টিআর
ইসিতে আবেদন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৮ নির্বাচন কমিশন মনোনয়নপত্র বাতিল