ঢাকা-১ আসনে ধানের শীষের কেউ নেই
২ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৯:০৩
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: দলের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল হতে পারে— এমন শঙ্কা থেকে বেশিরভাগ আসনেই একাধিক ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিয়েছিল বিএনপি। সিনিয়র কয়েকজন নেতা ছাড়া একেক আসনে দুই থেকে ছয় জন পর্যন্ত প্রার্থীকেও মনোনয়ন চিঠি দিয়েছিল বিএনপি।
কিন্তু বিএনপির এই কৌশলও কাজে আসেনি ঢাকা-১ আসনে (দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা)। রোববার (২ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে এই আসনে ধানের শীষের দুই প্রার্থীর মনোনয়নই বাতিল হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই আসনে বিএনপি, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের আর কেউ মনোনয়ন জমা দেননি। ফলে ধানের শীষে কেউ থাকছেন না ঢাকা-১ আসনে।
ঢাকা-১ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য দলীয় ফরম সংগ্রহ করেছিলেন চার জন প্রার্থী। তারা হলেন— ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার মেয়ে অন্তরা সেলিমা হুদা, নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফাহিমা হোসাইন জুবলী ও নাজমুল হুদার সাবেক প্রেস সেক্রেটারি তারেক হোসেন।
গত ২১ নভেম্বর মনোনয়ন বোর্ডে সাক্ষাৎকার দেন তিন জন। এদের তিন জনকেই প্রথামিকভাবে মনোনয়ন চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি। ২৭ ডিসেম্বর রাতে গুলশান কার্যালয় থেকে খন্দকার আবু আশফাক ও ফাহিমা হোসাইন জুবলীকে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু চিঠির তালিকায় ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার মেয়ে অন্তরা সেলিমা হুদার নাম এক নম্বরে থাকলেও তিনি চিঠি পাননি। পরের দিন ২৮ নভেম্বর সকালে অন্তরা হুদার প্রতিনিধি দিনভর গুলশান কার্যালয়ে দেন দরবার করলেও রহস্যজনক কারণে তাকে মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়নি।
জানতে চাইলে খন্দকার আবু আশফাক বলেন, ‘আমি ২৮ নভেম্বর জেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু আজকে দেখলাম পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়নি বলে মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আমি এর বিরুদ্ধে রিট করব।’
এদিকে, জানা গেছে, মনোনয়পত্র যাচাই-বাছাই শেষে বগুড়া-৭ আসনেও বিএনপির কোনো প্রার্থী থাকছে না। এই আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছিল। তার সঙ্গে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল গাবতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদ মিলটনকে। এছাড়া, বিদ্রোহী হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সদস্য সরকার বাদল। তাদের তিন জনের মনোনয়নপত্রই বাতিল করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। ফলে এই আসনটিতেও বিএনপির কোনো প্রার্থী রইল না।
সারাবাংলা/এজেড/টিআর