মনোনয়ন বাণিজ্যে মহাসচিব পদ হারালেন রুহুল আমিন হাওলাদার
৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ১২:৩৫
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নের আশ্বাস দিয়ে আর্থিক লেনদেনে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ ওঠায় মহাসচিব পদ থেকে এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারকে সরিয়ে দিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রুহুল আমিন হাওলদারের জায়গায় মহাসচিব পদে মসিউর রহমান রাঙ্গাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।
জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মসিউর রহমান রাঙ্গাঁকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যের পাশাপাশি তিনি এই অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রের ২০/১/ক ধারা মোতাবেক এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
তবে জাতীয় পার্টির একটি সূত্র সারাবাংলাকে জানিয়েছে, এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন আসনে মনোনয়ন দেওয়ার আশ্বাসে প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন রুহুল আমিন হাওলাদার। এ বিষয়টি দলের হাইকমান্ড জানতে পারায় মহাসচিবের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি এখন থেকে মহাসচিব পদে নেই।
তবে মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, পার্টির চেয়ারম্যান এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দলের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এমনটি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ২০০২ সালে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মনোনীত হন। ১১ বছর পর ২০১৩ সালের ১০ এপ্রিল তাকে মহাসচিব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
দুই বছর পর ১৯ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে তাকে পুনরায় মহাসচিব পদে নিয়োগ দেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এছাড়াও তিনি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মুখপাত্র।
এ বি রুহুল আমিন হাওলাদার ১৯৮১ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৮৬ সালের সাধারণ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনয়নে পুনরায় দ্বিতীয়বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি সংসদের হুইপ, কৃষি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং সর্বশেষ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন।
২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাওলাদার পটুয়াখালী-১ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
এবার জাতীয় নির্বাচনে এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ফেরত না দেওয়ায় তিনি ঋণখেলাপি হয়েছেন। ফলে এবারের নির্বাচনে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন পটুয়াখালী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে