Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘উই হ্যাভ নাথিং টু ডু’


৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৩:১১

।। স্টাফ ক‌রেসপ‌ন্ডেন্ট।।

ঢাকা: মনোনয়ন বাতিলের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। এখানে সরকার জড়িত নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘মনোনয়ন বাতিলের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। উই হ্যাভ নাথিং টু ডু। আমাদের কিছু করার নেই’।

সোমবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তিনি।

কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশনের আইনে আছে মনোনয়নপত্র বাতিল করার। সরকার কোনোভাবেই এর সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। যদি তাই হতো, তাহলে কি আমরা আমাদের সবচেয়ে বড় শরীক দল জাতীয় পার্টির মহাসচিব বাদ পড়বেন, এটা কি আমরা চাইবো? খালেদা জিয়ার বিষয়টি তো আদালত আগেই সিদ্ধান্ত দিয়ে দিয়েছে। দুই বছরের বেশি যারা কারাদণ্ডে দণ্ডিত, তারা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত, উই হ্যাভ নাথিং টু ডু উইথ দ্যাট। আমাদেরও তো অনেকে বাদ গেছে, সেখানে আমাদের কি করার আছে? মনোনয়ন পত্র যেসব কারণে বাতিল হয়, সেগুলো তো নির্বাচন কমিশন সবসময় আমলে নেয়। নতুন করে তো কোনও আইন করা হয়নি।

হাজী সেলিমের মনোনয়ন প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, হাজী সেলিমের বিষয়ে যদি বলি তাহলে, আমরা সেখানে দুজন কেনো প্রার্থী দিলাম? আমাদের সন্দেহ ছিল হাজী সেলিম বাদ যেতে পারেন। সেজন্য আমরা আমাদের মহানগর দক্ষিণের সভাপতির নাম দুই নম্বরে রেখেছিলাম। অনেক জায়গায় আমাদের সংশয় ছিল প্রার্থী নির্বাচনি আইনে টিকবে কিনা, সেক্ষেত্রে আমরা কিন্তু দুইজন প্রার্থী দিয়েছি। আমরা ধরে নিয়েছিলাম হয়তো হাজী সেলিম টিকবে না। কিন্তু তিনি আইনে টিকে গেছেন এখানে তো আমাদের কিছু করার নেই।

বিজ্ঞাপন

বিএনপির অভিযোগ আওয়ামী লীগের জয়ের পথ প্রশস্ত করতে মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে – এর প্রেক্ষিতে কাদের বলেন, আমার নির্বাচনি এলাকায় বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী মওদুদ সাহেব। খুব বিশ্বস্ত মাধ্যম থেকে জানানো হয়েছিল যে, তার মনোনয়ন পত্রে কিছু কিছু ত্রুটি আছে। আমি তখন মন্তব্য করেছিলাম মওদুদ আহমদ সাহেব নির্বাচন না করলে আমি খুব কষ্ট পাবো। তা না হলে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন সেখানে হবে না। আমার মধ্যে কিন্তু এই মানসিকতা কাজ করে না।

২০ দলীয় জোটের বৈঠকের পর কর্ণেল অলি আহমেদ অভিযোগ করে বলেছেন, এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে টিকে থাকা যাবে না-এর প্রেক্ষিতে কাদের বলেন, অলি আহমেদ সাহেব আমাকে ফোন করেছিলেন। তিনি কিছু কিছু সমস্যা তুলে ধরেছিলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ব্যাপারে। আমি তখনই তাকে বলেছি যে দেখুন, এখন তো প্রশাসন, পুলিশ, নির্বাচন সব কমিশনের অধীনে। তারপরও আমি দলের সেক্রেটারি হিসেবে চেষ্টা করবো যাতে আপনার এলাকায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কোনো ভাবে ক্ষুন্ন না হয়। আমি সেখানে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি, আমরা কোনও অবস্থাতেই এক তরফা কোনও কিছু সৃষ্টি করে, নির্বাচনে লড়াই করতে চাইনা। গণতন্ত্র দুই চাকার একটি সাইকেল। এক চাকা ক্ষমতাসীন দল এবং আরেক চাকা বিরোধী দল। কোন চাকায় কে থাকবে এটা জনগণই সিদ্ধান্ত নিবে। ফাঁকা মাঠে গোল দেবো, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ধরনের ইচ্ছা কখনোই পোষণ করেন না। ফাঁকা বুলি দিতে চাই না, আমরা একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই।

বিএনপির থেকে নির্বাচন বর্জনের হুমকির মধ্যে বাস্তবতা কিছু দেখতে পাচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে কাদের বলেন, আমার বিশ্বাস তারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর যে হুমকি দিচ্ছে তা দেশের জনগণের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে। এটাই আমি তাদের কাছে প্রত্যাশা করি।

বিজ্ঞাপন

জোটগতভাবে মনোনয়নের বিষয়ে কাদের বলেন, মৌখিকভাবে মোটামুটি চূড়ান্ত। জোটের টাও চূড়ান্ত, দলেরটাও চূড়ান্ত। কিছু কিছু ব্যাপারে যেমন হাজী সেলিম, নায়ক ফারুকের ব্যাপারে ঋণখেলাপির একটা বিষয় ছিল, সারাদেশে এরকম আরো আছে। বিএনপির যেমন তাদের প্রার্থীর ব্যাপারে সংশয় রয়েছে তেমনি আমাদেরও অনেকেই বাদ গেছে। আমরা তো এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলছি না।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর এটা পরিষ্কার হতে থাকে যে কারা নির্বাচনে বিজয়ী হতে যাচ্ছে। এটা আপনারাও বুঝতে পারেন, আমার বলার দরকার নেই। কোনো ধরনের অহমিকা প্রকাশ করতে চাই না। কারোই অহংকার করা উচিত নয়। যদিও প্রতিপক্ষের সাজে না এমন অহংকারবোধ তারা করছে। এই অহংকার কিন্তু পতনের কারণ। কাদের সিদ্দিকী নিজের মনোনয়ন বাতিলের পর হতাশায় কত কথাই না বলছেন। আমরা তাকে কোনো কটু কথা বলবো না।

আওয়ামী লীগের ভেতর সাইলেন্ট এক ধরনের বিদ্রোহের বিষয়ে কাদের বলেন, আওয়ামী লীগাররা সময়মত ঐক্যবদ্ধ হয়ে যায়, এটা সময় আসলে দেখবেন।

সারাবাংলা/এমএমএইচ/জেএএম

কাদের মনোনয়ন বাতিল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর